এবার মমতার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদী, শোরগোল সর্বত্র কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 23, 2019 অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চালু হওয়ার পরেই দেশজুড়ে শোরগোল তৈরি হয়। দেখা যায়, সেখানে এনআরসির তালিকা থেকে বহু হিন্দু মানুষদের নাম বাদ গিয়েছে। যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। যার মধ্যে অন্যতম দল হিসেবে পরিচিত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এরপর সারা দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবাংলাতেও এনআরসি করা হবে বলে জানাতে শুরু করে বিজেপি নেতারা। যার নিঃসন্দেহে বিরোধিতা করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ফলে সেই বিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যার জেরে সেই বিল এখন আইনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে জোর প্রতিবাদ করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও মিছিল করে, আবার কখনও বা সভায় বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মোদি এবং অমিত শাহের কালঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছেন বাংলার তৃণমূল নেত্রী। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন দিল্লির রামলীলা ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “দিদি” বলে সম্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দিদি, ইতনি ডরি কিউ হো রে!” আর এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীত তুলে ধরে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের এবং শরণার্থীদের সাহায্য করার দাবিতে মমতাদিদি একদিন স্পিকারকে কাগজ ছুড়েছিলেন। এখন আপনি কেন বদলে গেলেন! ক্ষমতা আসে, যায়। কেন এত ভয় পাচ্ছেন! বাংলার জনতাকে কেন দুশমন ভেবে নিয়েছেন? দিদি সিধি কলকাতা থেকে এখন রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি এই নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভোটাভুটি করার দাবি জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই ব্যাপারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীর্যক ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও বা প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পাল্টা তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি যা বলেছি, মানুষের সামনেই বলেছি। দেশে এনআরসির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বরং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উল্টো কথা বলছেন। দেশকে কে বিভাজন করছে! কে ঠিক, কে ভুল, মানুষ ঠিকই বিবেচনা করবে। সিএএ মানছি না। এনআরসি মানছি না।” এদিকে নরেন্দ্র মোদীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করার ব্যাপারে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সবাইকে ছেড়ে মোদি নিশানা করছেন মমতাকে। কে কাকে ভয় পাচ্ছে, এ থেকেই স্পষ্ট।” বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে সেইভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। তবে এদিন রামলীলা ময়দান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিদি বনাম দাদার দ্বৈরথ বাড়িয়ে দিলেন বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আপনার মতামত জানান -