প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সংগঠনকে বের করতে এবং অন্যান্য রাজ্যে দলকে শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বাইরে এখন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা নিয়ে সব থেকে বেশি ব্যস্ত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই সেখানে ঘাঁটি গেড়ে পরে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক ছাত্র এবং যুব সংগঠনের নেতৃত্বরা। যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গেলেই তাদের উপর বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। ঘাসফুল শিবির দাবি করছে, ত্রিপুরা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তার মুখে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আগামী দিনে তাদের সরকার ত্রিপুরাতে থাকবে না। তাই এখন থেকে তৃণমূলের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা শুরু করেছে বিজেপি। আর এর মাঝেই এবার ত্রিপুরা বিজেপিতে ব্যাপক ধাক্কা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করতে দেখা গেল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। যেখানে বিজেপির একটি সভায় এক বক্তাকে দলীয় সংগঠনের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। স্বভাবতই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এই ভিডিও টুইট করার পরেই নানা মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বা সেই ভিডিওর কোনোরূপ সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু মিডিয়া।

সূত্রের খবর, এদিন একটি ভিডিও টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির এক সভায় এক নেতা বলছেন, “সংগঠকরা ঠিকমত কাজ না করলে দুর্বল হবে সরকার। সরকার দুর্বল হলে দল দুর্বল হয়ে পড়বে।” এদিকে কুনাল ঘোষ এই ভিডিও পোস্ট করে সেখানে লিখেছেন, “ভয় পেয়েছে বিজেপি্ দলের সভাতেই স্বীকার করছে দুর্বলতা। টাটকা বৈঠকের ছবি দলের কর্মীরাই পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। বিজেপির পায়ের তলা থেকে জমি সরছে।” স্বভাবতই কুণাল ঘোষের এই ভিডিওর সত্যতা কতটা, তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অবশ্যই হয়ত বা ভবিষ্যতে দেখতে পাবে গোটা ত্রিপুরা। কিন্তু কুণালবাবু বিজেপির সভার ভিডিও যেভাবে পোস্ট করলেন, তাতে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি যে দ্বিগুণভাবে বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ত্রিপুরা জুড়ে। বলা বাহুল্য, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরাতে পা রেখেছিলেন। আর তারপরেই তার কনভয়ে হামলা করা থেকে শুরু করে তাকে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরবর্তীতে গোটা বিষয়কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের প্রতিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া না হলেও তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ যেভাবে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সভার ভিডিও প্রকাশ করলেন, তাতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি মুখে না বললেও ত্রিপুরা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টির? আর সেই কারণেই সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথা শোনা যাচ্ছে নেতাদের গলায়? কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক ভিডিও ট্যুইটের পর এই প্রশ্ন ক্রমাগত মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে ত্রিপুরার রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিজেপির পক্ষ থেকে এই ভিডিওর সত্যতা স্বীকার করা হয় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।