এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলে কি এবার বড় সংখ্যায় ভাঙ্গন ধরতে চলেছে? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জোর জল্পনা !

তৃণমূলে কি এবার বড় সংখ্যায় ভাঙ্গন ধরতে চলেছে? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে জোর জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বঙ্গ সফরে এসে রাজ্য থেকে সদ্য ঘুরে গেছেন অমিত শাহ। ফলে রাজ্যে বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের মন যে আত্মবিশ্বাস এখন অনেকটাই বেশি, সে কথাই মনে করছেন রাজনৈতিকরা। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, সে আভাসও পাওয়া গেছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই সামনে এসেছিল একাধিক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা।

যেখানে নিজের দলের অন্দরেই ব্রাত্য হয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাদেরকে। সেই সঙ্গে পিকের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও সমালোচনা করেছিলেন কেউ কেউ। সেখানে কোন সংস্থাকে দিয়ে সংগঠন চালানোর মতো প্রস্তাবে সহমত হতে পারেননি অনেকেই। আর এমন পরিস্থিতিতে তাই নিজের দলের নির্বাচনী প্রচারে কাউকে যেখানে দাঁড়াতে দেখা যায়নি, সেখানে অনেকেই গাছাড়া ভাব দেখিয়েছেন।

দলের বিভিন্ন কার্যে এমন পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলতে যে দেরি করবেন না, সে কথাও আলাদা করে বলে দিতে হয় না। বস্তুত এর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের গরু পাচারের কিংপিন এনামুলের গ্রেফতার নিয়েও সরগরম হয়েছে রাজনৈতিক অন্দরমহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নিত্যদিনের মতই আজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর সেই সময়ই একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, “দুর্নীতি আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া তৃণমূলে আর কিছুই নেই।” তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সংস্থা কাজ শুরু করতেই চারিদিকে হইচই পড়েছে। কারণ, তাঁর মতে, বাংলায় চলা গরু ও কয়লা পাচারের সঙ্গে রাজ্যের সরকারি পার্টির নেতাদের অধিকাংশই জড়িত রয়েছে।

আর সেই জন্যই তল্লাশি শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ করছিলেন। আর এতেই যে ক্ষমতায় থাকা মানুষদের আসল চেহারা স্পষ্ট হয়ে গেছে, সেকথাই বলেছেন তিনি। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর দল করাকে প্রসঙ্গ করেও শাসকদলকে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের পরিস্থিতি বাঁধাকপির মতো। পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। থেকে যাবেন শুধু ২ জন।”

বস্তুত, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের বহু নেতা-কর্মীর বিজেপিতে যোগ দেবার অনুমান করেছিলেন রাজনীতিকরা। আর সেটা নিয়েই রাজ্য বিজেপির সভাপতি এদিন বলেন, “যাঁরা পরিবর্তনের অপেক্ষায়, আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করব। সত্যিকারের পরিবর্তন বিজেপি করবে।” ফলত এবার যে একুশে বাংলায় সরকার গড়ার ক্ষেত্রে বিজেপি চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে এবং তার পেছনে যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে, সেই কথাই মনে করেছেন কূটনৈতিকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!