প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –যত দিন যাচ্ছে, যত সময় যাচ্ছে, তত বাড়ছে করোনা ভাইরাস। যেভাবে রাজ্যে এই করোনা ভাইরাস বাড়তে শুরু করেছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। কিভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে, তা কেউ জানেন না। তাই বর্তমানে লকডাউন ঠিকভাবে পালন করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে আট আইএএস অফিসারকে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেছে, কোভিগ পরিকাঠামোর টিমের দায়িত্বে রাখা হয়েছে মনোজ পন্থকে, করোনা পরীক্ষায় বিনোদ কুমার, সেফ হোমের দায়িত্বে সৌমিত্রমোহন, সামগ্রিক কোভিড ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে শুভাঞ্জন দাস এবং টেলি মেডিসিনের জন্য যে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে, তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে সঞ্জায় বনসালকে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন প্রশাসনের এই আট কর্তাকে দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

এক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে হেভিওয়েট মন্ত্রীদের দায়িত্ব না দিয়ে কেন বেশি করে প্রশাসনিক কর্তাদের উপর ভরসা রাখলেন তিনি? অনেকে বলছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বারবার বলা হয়েছিল, লকডাউন সকলকে মেনে চলতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি রাস্তায় বেরিয়েছেন। যার ফলে অনেকেরই শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বাধতে শুরু করেছে।

আর এর পরেই রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি আর তার সরকারের মন্ত্রীদের উপর আর ভরসা করতে পারছেন না, আর সেই কারণেই তিনি প্রশাসনিক কর্তাদের করোনা মোকাবিলায় বাড়তি দায়িত্ব দিলেন? কিন্তু সত্যি সত্যিই মন্ত্রীদের উপর ভরসা না থাকার কারণে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আট আইএএস অফিসারকে দায়িত্ব দেন, তাহলে তা মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে সত্যিই বড় দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন সকলে।