এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্য বিজেপিতে কি বড়সড় বদল আসন্ন? দিল্লী উড়ে গেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি

রাজ্য বিজেপিতে কি বড়সড় বদল আসন্ন? দিল্লী উড়ে গেলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জোরদার জল্পনা রাজ্য বিজেপির অন্দরে। রাজ্য বিজেপিতে এবার বড়োসড়ো পরিবর্তন হতে চলেছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কাকে রাখা হবে, কাকে ছাঁটা হবে তাই নিয়ে চলছে রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশ। আর এরই মধ্যে এবার দিল্লিতে ছুটে গেলেন  সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ডাকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি রাজ্য বিজেপির সভাপতির ঘাড়েই কোপ পড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের? উত্তর এখনও মেলেনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্য বিজেপি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব যথেষ্ট বিড়ম্বনায় যে পড়েছে তা বলাইবাহুল্য।

কার্যত 200 আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যেভাবে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি করে গিয়েছেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর দেখা গেল দাবি পূরণ তো হয়ইনি, বরং দুই অঙ্কের আসনেই থেমে থাকতে হয়েছে বিজেপিকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বাংলায় অস্বস্তিতে পড়েছে। তার মধ্যেই আবার রাজ্যের একের পর এক নেতা অস্বস্তি বাড়িয়ে চলেছেন। দলে ভাঙন ও অন্তর্দ্বন্দের জেরে নাভিশ্বাস উঠছে। এই অবস্থায় খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দিকে আঙ্গুল উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে নতুন রাজ্য বিজেপি সভাপতি আসতে চলেছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এরাজ্যে বেশ কিছুটা পায়ের তলার মাটি শক্ত করলেও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিন্ত  দেখা গেল বিজেপির সাংগঠনিক জোর প্রায় তলানীতে। পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেওয়ার পর তীব্র আকার ধারণ করছে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্কলহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ একযোগে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলেন। শুধু তিনি একা নন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কেও একইভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে খোঁচা দিতে দেখা যায়। কার্যত রাজ্য বিজেপি সভাপতির যে মুষ্টি আলগা হচ্ছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার মতামতের পার্থক্য সামনে এসেছে। কার্যত উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তোলামাত্রই জন বার্লাকে দেওয়া হল প্রতিমন্ত্রীর জায়গা। দিলীপ ঘোষ কিন্তু জন বার্লার দাবি ঘিরে ক্রমাগতই বিরোধিতা দেখিয়ে এসেছেন। এই অবস্থায় সামনে পরপর নির্বাচন বাংলায়। তার আগেই রাজ্য বিজেপিকে গুছিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বদল হবার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষের জন্য কোন নির্দেশ তৈরি রেখেছে, সে দিকেই এখন নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!