এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিদ্যুতে কয়েকটি জেলাতেই ক্ষতির পরিমান ছাড়ালো হাজার কোটি,কারণ খুঁজতে আসরে মন্ত্রী

বিদ্যুতে কয়েকটি জেলাতেই ক্ষতির পরিমান ছাড়ালো হাজার কোটি,কারণ খুঁজতে আসরে মন্ত্রী


লাগাম ছাড়া বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় এবার প্রশাসনের নজরে বীরভূম জেলা। আয়তনে ছোট হলেও ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ৩০৮ কোটি টাকা। মুরারই-১ ও ২,রামপুরহাট-১,মহম্মদবাজার,দুবরাজপুর সহ বেশ কয়েকটি ব্লকের বিদ্যুৎ চুরির নজির সামনে আসায় মাথায় হাত পড়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থার আধিকারিকদের। শুধু বীরভূমই নয়,এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি জেলা মিলিয়ে ক্ষতির পরিমান হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। এই ইস্যুটিকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে নড়ে চড়ে বসেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তর।

জানা যাচ্ছে, এতো ক্ষতির পরিমান তদারক করতে আমলাদের উপর সমস্ত দায় ঠেলে না দিয়ে খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জেলা সফর শুরু করতে চলেছেন। প্রথম পর্যায়ে বীরভূম,মুর্শিদাবাদ, নদীয়া,পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনি কর্তা,পুলিশ আধিকারিক এমনকর পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হলেই এই সফর শুরু করতে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে,এটাও জানিয়েছেন যে প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিমাসে প্রতিটি ব্লকে আয়োজন করা হবে একটি করে কো-অর্ডিনেশন বৈঠক। সেখানে বিডিও,থানার ওসি,পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থার কাছে সমস্ত সমস্যার কথা শুনে সমাধানের পথ বাতলে দেবেন। এছাড়া বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদেরও কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়ে দিলেন তিনি এদিন।

প্রসঙ্গত,বিদ্যুৎ চুরি ইস্যুতে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তৈরি হয়েছে প্রশাসনিকমহলে। শুধু কি গ্রাহক ও সাধারণমানুষের লাগামছাড়া চুরির সঙ্গে বিদ্যুৎ-এর এতো ক্ষতি হচ্ছে? নাকি এর পেছন বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থার গাফিলতি রয়েছে? বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে তাঁদের ভূমিকাও কার্যত প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল। কারণ বীরভূমের মতো ছোটো জেলাতেও বেশ অনেকদিন ধরেই বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে। বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে এরিয়াল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল একসময়। কিন্তু সে কেবল দেওয়ার কাজ নাকি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়া পাওয়ার ট্রান্সমিটার করতেও বেশ কিছু ক্ষত হচ্ছে বলেই খবর রয়েছে। তবে প্রশ্নের ইতি এখানেই নয়। জেলায় রিজিওন্যাল ম্যানেজার,ডিভিশন্যাল ম্যানেজার সহ একাধিক আধিকারিক রয়েছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এঁরা কি নিয়মমাফিক নজরদারি চালাচ্ছেন? তাঁদের ভূমিকা নিয়েই রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করছেন বিদ্যুৎ দপ্তর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

 তাই এবার কারোর হাতেই দায়িত্ব না দিয়ে বিদ্যুৎ বাঁচানোর অভিযানে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চলেছেন স্বয়ং বিদ্যুৎ মন্ত্রী। ঠিক কী কী কারণে ক্ষতির পরিমান এতো বেশি হচ্ছে,সেটাই খতিয়ে দেখবেন তিনি। প্রশাসনের তরফ থেকে কোথায় ঘাটতি হচ্ছে সেটাই দেখে নিতে হবে,এমনটাই তাঁর মতামত। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন,’আমি ইতিমধ্যে দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি,ঠান্ডা ঘরে বসে থাকলে হবে না,মাঠে-ময়দানে নেমে অভিযান চালাতে হবে।’এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বললেন যে ক্ষতির পরিমান অনেকটাই। ব্লকস্তরে প্রতিমাসে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি,এটা জানালেন এদিন। এছাড়া আশ্বাস দিলেন,দ্রুতই এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি রিজিওন্যাল ম্যানেজার দয়াময় শ্যামের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!