এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা সংক্রমনের মধ্যেও বড়দিনের উৎসবে মাতলেন মহা নগরবাসী।

করোনা সংক্রমনের মধ্যেও বড়দিনের উৎসবে মাতলেন মহা নগরবাসী।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বছরের শেষে বড়দিনের উৎসব পালন, কেক হাতে বর্ষবরণ বাঙালির এক দীর্ঘদিনের রীতি। শীতের কাঁপুনির মধ্যে কেকের সুস্বাদু মিষ্টি গন্ধ আর রঙিন আলোর বাহারে সেজে ওঠে রাজধানী কলকাতা। বড়দিনের উপহারের অপেক্ষা করে শিশুরা। এমনভাবেই, সুদীর্ঘকাল ধরে বড়দিন পালন করতে দেখা যায় কলকাতা ও রাজ্যের অন্যান্য স্থানে। তবে এ বছর করোনা সংক্রমণ উৎসবের আনন্দে যথেষ্ট ভাটা ফেলেছে।

বড়দিন উপলক্ষে অন্যান্যবারের মতো এবারও সেজে উঠেছে পার্ক স্ট্রিট৷। গতকাল রাতে পার্ক স্ট্রিটে বহু মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছিল। করোনা সংক্রমনের মধ্যে এই বিপুল হারে জমায়েত যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাই বড়দিনে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল কলকাতা পুলিশ। চালানো হচ্ছে পুলিশের তীব্র নজরদারি। আজ কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে নজরদারি করবেন ৫০০০ পুলিশকর্মী। ১১ টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে নজরদারি করা হবে পার্ক স্ট্রিটে। হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, কুইক রেসপন্স টিম সবকিছু নিয়ে চলবে পুলিশের নজরদারি ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ।

প্রতি বছর বড়দিনে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ উপস্থিত হন সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চে। কলকাতা ও কলকাতার নিকটস্থ অঞ্চল থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে। অন্যবার সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ বড়দিনে সারাদিন খোলা থাকলেও এবছর করোনা সংক্রমনের কারণেই দুপুর ২ টার পর বন্ধ করে দেয়া হবে এই চার্চ। আবার, অন্যান্য বছর বড়দিনের সকালে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বহু মানুষের সমাগম দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, করোনার কারণে এবার তেমন একটা ভিড় দেখা যাচ্ছে না আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আজ সকালে বাচ্চাদের নিয়ে এখানে এসেছেন বেশ কিছু অভিভাবক। তবে অন্যান্য বারের মত চিড়িয়াখানার বাইরে টিকিট কাটার লম্বা লাইন চোখে পরে নি। ধাক্কাধাক্কি করে ভিতরে যাবার দৃশ্যও করোনা সংক্রমনের কারণে উধাও। কলকাতা সঙ্গে সঙ্গে চন্দননগরেও বড়দিনের উৎসব পালিত। চন্দননগরের সেক্রেড হার্ট চার্চে শুরু হয়েছে বড়দিন পালন। সকালের প্রার্থনা থেকে শুরু হয়েছে যাচ্ছে উৎসব। চার্চ ও চার্চের বাইরে সাজানো হয়েছে। সকাল থেকেই দর্শনার্থীরা আসছেন। এখানেও ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা চলছে।

আবার, বড়দিনের সকালে শীত পড়েছে ভালোভাবেই। কিছুদিন ধরেই বাড়ছে শীত। হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী দু-তিন দিন ধরে এমন শীত থাকবে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩. ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কালের তুলনায় যা ১ ডিগ্রি কম। কলকাতার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য জেলাগুলিতেও নামছে পারদ। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার শীতের কাঁপুনির মধ্যেই হতে পারে নতুন বর্ষবরণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!