মুখ্যমন্ত্রীর সিঙ্গুর ঘোষণা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে, সমালোচনায় সরব বিরোধীরা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি December 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন বড়দিনের আগে রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর। বড়দিনের উপহার হিসাবে জানিয়েছিলেন, রাজ্যজুড়ে আসছে শিল্পের জোয়ার। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একদিকে যেমন তাজপুরে হতে চলেছে গভীর বন্দর প্রকল্প, ঠিক সেরকমই সিঙ্গুরেও কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিকাশের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে সিঙ্গুরের 2 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে হতে চলেছে অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক। আর তাই নিয়েই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল জল্পনা। দীর্ঘদিন পর সিঙ্গুর প্রসঙ্গ আবারও মুখ্যমন্ত্রীর গলায় উঠে আসায় রাজনীতির বিভিন্ন মহলে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন কথা। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী আবার সিঙ্গুরের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। 2011 সালে এই সিঙ্গুরকেই পাথেয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় সাড়ে তিন দশকের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন। আবারও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এলো সিঙ্গুর প্রসঙ্গ, যখন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বাকি নেই। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, সিঙ্গুরের রেলস্টেশনের কাছে জমি ঘেরার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কোনো জমি অধিগ্রহণ করা হবেনা বলে নিশ্চিত করেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই বিরোধীরা তাঁর সমালোচনায় সরব হন। বাম আমলে এই সিঙ্গুর থেকেই টাটাদের হটিয়ে সে সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকদের জমি পুনরুদ্ধার করেছিলেন। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এদিন দাবি করেছেন, সেই সব জমি এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজে লাগাচ্ছেন। সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই সিঙ্গুরে না হল শিল্প না হল বেকারদের কর্মসংস্থান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, 2011 সালে যখন 95% কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল টাটারা, তখনই তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল। এদিকে আর কিছুদিন পরেই রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী আচরণবিধি শুরু হয়ে যাবে। তাহলে সিঙ্গুর নিয়ে যে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা একপ্রকার ভাঁওতাবাজি। কারণ এরপর আর কোনো কাজই হবেনা। রাজনীতির কারবারিদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব একটা সহজ হবেনা কোনো নির্দিষ্ট দলের পক্ষে সে কথা এতদিনে স্পষ্ট। আর সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দীর্ঘদিন পর আবারও সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে আনলেন তাঁর পরিকল্পনায়। তবে একথাও ঠিক, টাটারা চলে যাবার পর থেকে কিন্তু সিঙ্গুরে এতদিন পর্যন্ত সেভাবে কোনো কাজ হয়নি। এই নিয়ে সিঙ্গুরবাসীদের প্রবল ক্ষোভ শোনা গেছে। এমনকি সিঙ্গুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্যও প্রকাশ্যে তাঁর ক্ষোভ দেখিয়েছেন। তবে সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা যে পুরোপুরি নির্বাচনী চমক সে ব্যাপারে একমত রাজ্যের বিরোধী শিবিরগুলি। আপনার মতামত জানান -