এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঝড়ের পূর্বাভাস আসতেই দুর্নীতির প্রসঙ্গ, তারকা বিধায়ক বাড়ালেন অস্বস্তি!

ঝড়ের পূর্বাভাস আসতেই দুর্নীতির প্রসঙ্গ, তারকা বিধায়ক বাড়ালেন অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত এক বছর আগে আম্ফান নামক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় যখন আছড়ে পড়েছিল, তার পরবর্তী সময়কালে সেই ঝড়ের টাকা নিয়ে ব্যাপক দূর্নীতি তৈরি হয়েছিল। রাজ্যজুড়ে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য প্রদান করা হলেও, তাতে ঘাটতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধিরা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে উঠে এসেছিল। যার জেরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য প্রশাসন। এমনকি 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকে সামনে রেখে লড়াই করে বিরোধীরা।

তবে এবার আবার যখন এক বছর কাটতে না কাটতেই “ইয়াস” নামক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন দুর্নীতি যাতে কোনোভাবেই না হয়, তার জন্য সকলকে সতর্ক করে দিলেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের তারকা বিধায়ক লাভলী মৈত্র। স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়কের এই ধরনের সতর্কবার্তার ফলে এক বছর আগেকার স্মৃতি যেমন আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল, ঠিক তেমনই ভবিষ্যতে ত্রাণপর্ব নিয়ে দুর্নীতির প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করল।

সূত্রের খবর, রবিবার সোনারপুরে পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র। যেখানে সকলকে ত্রাণকাজে যাতে দুর্নীতি না হয়, তার জন্য কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় তাকে। এদিন এই প্রসঙ্গে লাভলী মৈত্র বলেন, “গ্রামীণ এলাকায় প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এবং পৌর এলাকায় অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। মাটির বাড়ি অথবা বিপদজনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে। দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে প্রশাসন।”

তবে এত কিছু সতর্কবার্তার মধ্যে লাভলী মৈত্রর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য, ত্রাণকাজে দুর্নীতি না হওয়া প্রসঙ্গে সতর্কবার্তা। অর্থাৎ অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ত্রাণকাজে আর কোনো দুর্নীতি না হয়, তার জন্য এখন থেকেই শাসকদল যে কড়া অবস্থান নিতে শুরু করল, তা তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এক বছর আগে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আছড়ে পড়েছিল আমপান নামক ঘূর্ণিঝড়। যার ফলে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষদের মাথার ছাদ ভেঙ্গে পড়েছিল। ঘরছাড়া হয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। তবে সেই সময়ে মানুষকে সহযোগিতা করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যত হলেও, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে দিয়ে সাহায্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে ক্ষেত্রে বাছবিচার করে অনেক প্রকৃত উপভোক্তাদের সাহায্য দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।

এমনকি বাস্তবেও তার অনেক প্রমাণ মিলেছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের অনেক দাপুটে নেতারা নিজেদের বাড়িতে ত্রাণের সাহায্য নিয়েছেন বলে অভিযোগ এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন তোলা হলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসকদল। তবে এবার যখন আবার এক বছরের মাথায় “ইয়াস” নামক ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তখন দুর্যোগের আগে থেকেই দুর্নীতি না হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সকলকে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র।

যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সাধারন মানুষ। তবে বিধায়ক এই ব্যাপারে সর্তকতা জারি করলেও, তার দলের নেতা-কর্মীরা কতটা মান্যতা দেবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বাছবিচার না করে ত্রাণ পর্বে মানুষের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কি ভূমিকা পালন করেন স্থানীয় নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!