এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বাঁকুড়াতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল? বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরিয়ে বাড়ালো জল্পনা!

বাঁকুড়াতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তৃণমূল? বিজেপিতে বড় ভাঙন ধরিয়ে বাড়ালো জল্পনা!


লোকসভা ভোটের পরবর্তীকালে রাজ্যজুড়ে যে প্রবল দলবদল ঘটে তাতে বহু সদস্য নেতা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলস্বরূপ এরাজ্যের বহু পুরসভা ও পঞ্চায়েত সবুজের হাত থেকে বেরিয়ে গেরুয়া ছত্রছায়ায় চলে আসে। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই এই খেলা পাল্টে যায়। যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছিল, তাঁরা একে একে ফিরতে থাকেন নিজের ঘরে এবং এর ফলে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হতে সময় লাগে না। আর এবার তৃণমূল লোকসভা বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে নিজেদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে।

শুক্রবার বাঁকুড়ার ইন্দাসে প্রায় 500 জন বিজেপি কর্মী আবার দল বদল করে যোগ দিলেন তৃণমূলে। এদিন তাঁরা বাসে করে জেলা তৃণমূল অফিসে এসে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার উপস্থিতিতে তৃণমূল দলে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্দাসের বিধায়ক গুরুপদ মেটে এবং বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল প্রমুখরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে, শ্যামলবাবু জানান, লোকসভা ভোটের পর থেকে ইন্দাস জুড়ে বিজেপির ব্যাপক সন্ত্রাস চলে। আর তারপরই এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তৃণমূলে আবার ফিরে আসেন। খুব অল্পদিনের মধ্যেই বিজেপির দাঙ্গা চরিত্রটি বাইরে বেরিয়ে আসে। এদিন যাঁরা দলে যোগদান করেছেন, তাঁদের সসম্মানে দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু বিজেপি কর্মী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ জানান, বিজেপি থেকে কেউ তৃণমূলে যোগ দেয়নি। তৃণমূলের কিছু লোককেই বিজেপি সাজিয়ে তৃণমূল এই নাটক করছে। এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়ে একাধিক কর্মীরা জানিয়েছেন, বিজেপি দলের কোন আদর্শ নেই। এলাকার উন্নয়নের পরিবর্তে তাঁরা মারপিট, দাঙ্গাতেই বিশ্বাসী। তাই দলে থেকে নিজেদের আত্মবিশ্বাস না হারিয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগদান করতে করলেন। প্রায় 500 জন বিজেপি কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগদান করেন।

এই ঘটনায় বিজেপির দলীয় স্তরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। লোকসভা ভোটের পর থেকে যে পরিমাণ সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছিল, তাতে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে কিছু বদল দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার দলবদল কারীরা পুরনো দলে ফিরে আসায় সেই সাংগঠনিক বদল ভেঙে পড়ার উপক্রম। এই নিয়ে বিজেপি শিবিরে যথেষ্ট চিন্তা বেড়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়ে গেছে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো, এভাবে যদি একের পর এক সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তাহলে 2021 এ বিজেপির জন্য অন্যরকম সম্ভাবনাও তৈরি থাকতে পারে। এ ব্যাপারে এখনই সাবধান হওয়া উচিত বিজেপির। নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা দরকার তাঁদের। তবে এই দলবদল এর ফলে তৃণমূলের শক্তি কিছুটা হলেও বাড়ল বলে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিশেষ করে, আগামী বছর পুরভোটের আগে এই দলবদল ঘাসফুল শিবিরকে অনেকটাই এগিয়ে দিল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!