এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ভোটের মুখে নয়া একগুচ্ছ নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের, না মানলে শাস্তির নিদান

ভোটের মুখে নয়া একগুচ্ছ নির্দেশিকা নির্বাচন কমিশনের, না মানলে শাস্তির নিদান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার অতিমারি সংক্রমণ আবার নতুন করে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যে কোথাও আংশিক লকডাউন, কোথাও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি হয়েছে। এদিকে পশ্চিমবাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচন একদম সামনে এসে গেছে। যথারীতি করোনার থেকে বেশি এরাজ্যে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে ভোট।

 আর যেকোনো নির্বাচনে প্রার্থীদের লক্ষ্য একটাই থাকে- জনসংযোগ করে দলীয় ভোট বৃদ্ধি। কিন্তু এবার করোনার কথা মাথায় রেখে কমিশন হল কঠোর। অনেক সময় দেখা যায় প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ করতে গিয়ে মানুষকে জড়িয়ে ধরতে হয়, কখনো দেখা যায় উৎসাহী সমর্থকদের সাথে গা লাগিয়ে ছবি তুলতে প্রার্থীদের।

আবার কখনো রোড শোয়ের গাড়ি থেকে ঝুঁকে ঝুঁকে জনতার সঙ্গে হাত মেলাতে। লক্ষ্য একটাই- মানুষের কাছের লোক হয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা।  কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, যদি করোনা অতিমারি আবহে এভাবে মেলামেশা করা হয়, তাহলে প্রার্থীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কিন্তু বিপদে পড়তে পারে। 

মনে করা হচ্ছে, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ এবার দেশে পৌঁছে গেছে, আর সেরকম সম্ভাবনা দেখা দিতেই কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। স্পষ্ট ভাষায় কমিশনের নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে, কোন রকম শারীরিক সংস্পর্শ করা যাবেনা। যদিও রাজ্যের একাধিক জায়গায় প্রার্থীদের এ ব্যাপারে বিশেষ কিছু ভাবান্তর নেই।

তাই এই আচরণ ঠেকাতে হঠকারী আচরণ ঠেকাতে এবার নির্বাচন কমিশন জেলাশাসক তথা জেলার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এবং তাঁদের প্রার্থীদের কমিশনের বিধি-নিষেধ মেনে চলতেই হবে। সেক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনের নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারের ক্ষেত্রে প্রার্থীসহ 5 জনের বেশি সদস্য সমর্থক থাকতে পারবেনা।

প্রচারে বেরোলে বাধ্যতামূলকভাবে সাথে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার রাখতে হবে। করোনা সংক্রান্ত দূরত্ববিধি মানতে হবে। রোড শো এর ক্ষেত্রেও রয়েছে বিধি-নিষেধ। বলা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর গাড়ি বাদ দিয়ে মাত্র পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে। আর এই পাঁচটি গাড়ির একটি অন্যটির দূরত্ব থাকতে হবে ন্যূনতম আধঘন্টার। একই সাথে রাজনৈতিক দলগুলির জনসভার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে জেলাশাসককে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 বলা হয়েছে, যেসব জায়গায় ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা প্রশস্ত রয়েছে, একমাত্র সেই সব ময়দানে জনসভা করা যাবে। এই ময়দানগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করতে হবে এবং ময়দান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার কোভিভ নোডাল অফিসারকে যুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি উপচে পড়া জমায়েত যাতে না হয়, সেদিকেও কড়া নজর রাখা হবে। এই নির্দেশ অমান্য করলে মহামারী আইনের 51 থেকে 60 নম্বর ধারায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থীকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

এক্ষেত্রে বিধি ভঙ্গের শাস্তি হিসাবে জুটতে পারে দু বছর কারাবাস এবং মোটা জরিমানা। রাজ্যজুড়ে করোনার হার আবার বাড়তে শুরু করেছে। আতংক ছড়াচ্ছে সবজায়গায়। এই অবস্থায় রাজ্যজুড়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন- ভোটের পর করোনার হার মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়বে। সেই অবস্থায় যাতে কোনভাবে পরিস্থিতি না যেতে পারে, তার জন্যই এবার কড়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এবার দেখার, প্রার্থীরা কমিশনের নির্দেশ মেনে কতটা সচেতনতা বজায় রাখে!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!