এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে ফের যোগদানের জল্পনা উস্কে দিলেন অধীর

তৃণমূলকে বিঁধে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে ফের যোগদানের জল্পনা উস্কে দিলেন অধীর


মেদিনীপুরে তৃণমূলের সভাতে কত জনসমাগম হলো তা নিয়ে জোর চাপানউতোর বিজেপি-তৃণমূলের .কয়েক দিন আগে বিজেপির তরফ থেকে মেদিনীপুর একটি সভা করা হয় যার নাম কৃষক কল্যাণ সমাবেশ।সেখানে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেই সভার পর বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল প্রচুর জনসমাগম হয়েছে যা তৃণমূলের কোনো সভায় হয়নি। অন্যদিকে এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি ছিল তারা বিজেপির পশ্চিমবাংলায় বিজেপির লোক নয় সেখানে কোন কৃষক ছিলেন না। বিজেপি বাইরে থেকে বাসে করে লোক নিয়ে এসেছে। যারা এসেছিলেন সব বহিরাগত।

অন্যদিকে তৃণমূল নিজেদের সভা ভরাতে ভয় দেখিয়ে জোর করে লোকদেরকে নিয়ে এসে বিজেপিকে মাত দেওয়ার চেষ্টা করছে এমন অভিযোগ বারবার এসেছে বিজেপির তরফ থেকে। সাথেই শুরু হয়ে গেছে কার পাল্লা ভারী। কোন সভায় বেশি জনসমাগম হয়েছিল নাকি তৃণমূলের নাকি বিজেপির। যদিও তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতাদের দাবি তাদের সভায় অনেক বেশি জন সমাগম হয়েছে। আর অন্যদিকে বিজেপি নেতাদের দাবি তেমন লোক হয়নি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

এবার সেই নিয়ে বিজেপির পশে দাঁড়ালেন অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি দাবি করেন যে মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভা সুপারফ্লপ করেছে। এই নিয়ে তিনি বলেন, গত শনিবার মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে বিজেপির সভার পালটা হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত সভাকে কটাক্ষ করে তিনি বললেন, ”   শনিবার মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর পাল্টা সভা সুপারফ্লপ করেছে। ময়দান ফাঁকা। ভাইপো পুরোপুরি ফ্লপ। এই তো তৃণমূলের ভবিষ্যত্‍। তারপর মুখ্যমন্ত্রী ফেডারেল ফ্রন্টের ধুয়ো তুলে মোদীর হাত শক্ত করতে চাইছেন।” অন্যদিকে একই ভাবে বিজেপির একটি সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন রাহুল সিনহা।
রাহুলবাবু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “গতকাল মেদিনীপুরে তৃণমূলের সভায় বেশি লোকজন হয়নি। মোদিজির সভার তুলনায় এটা কিছুই না। দুটি সভার ছবি দেখলে সব বোঝা যাবে। মোদিজির সভা ছিল মহাসভা আর তৃণমূলের ছিল পথসভা। যাদের সভায় মাঠের অর্ধেক ভরেনি তারা এত আস্ফালন করছে। এত বড় বড় কথা বলছে। পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভার পালটা সভা করেছিল তৃণমূল। সেখানে ওদের মান ইজ্জত গিয়েও শিক্ষা হয়নি। এবার মনে হয় ওদের চৈতন্য ফিরবে যে, বিজেপি এই রাজ্যে জনসমর্থনের নিরিখে অনেক এগিয়ে গেছে। বিজেপি -কে স্পর্শ করার ক্ষমতা তৃণমূলের আর নেই। এই সমর্থন দেখেই বোঝা যাচ্ছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ বিজেপি -র সঙ্গেই থাকবে।” একদিকে তৃণমূলের সাথে দিল্লি কংগ্রেস সখ্যতা বাড়াচ্ছে ২০১৯ এ মহাজোটের করে বিজেপিকে গদিচ্যুত করতে।এমনকি মমতা ব্যানার্জীকে প্রধানমন্ত্রী পদেও তাঁদের আপত্তি নেই সেকথাও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

অন্যদিকে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিকমহল। ফলে জোর জল্পনা যে কংগ্রেস না ছাড়লেও কি ভেতরে ভেতরে বিজেপিকে সমর্থন করছেন অধীর চৌধুরী? নাহলে মেদিনীপুরের সভা তো তৃণমূল ভার্সেস বিজেপির এগোর লড়াই। এর মধ্যে কংগ্রেস তো কোথাও নেই। তবে কি জল অন্যদিকে গড়াচ্ছে। প্রসঙ্গত,যতই দিল্লি নেতৃত্ব তৃণমূলের সাথে জোট বাঁধতে আগ্রহী হন না কেন অধীরবাবু কিন্তু তাতে মোটেও খুশি নন। ফলে জল্পনা ও উঠেছে যে তবে কি ২০১৯ এর কংগ্রেস আর তৃণমূলের জোট ঘোষণা হলেই বিজেপির পথে পা বাড়াবেন অধীরবাবু? আর এগুলোই তাঁর ইঙ্গিত?যদিও এই নিয়ে আগেও অনেক জলঘোলা হয়েছে কিন্তু অধীরবাবু স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। কিন্তু রাজনৈতিকমহলের মতে রাজনীয় বড় কঠিন জায়গা। কি হয় কেউ জানে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!