অপহৃত শীর্ষ তৃণমূল নেতার ভাই, তীব্র চাঞ্চল্য উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজ্য July 28, 2018 কিছুদিন আগেই নেতাজী ইন্ডোরে দলের কোর কমিটির মঞ্চ থেকে তৃনমূল ও তৃনমূল যুবর দ্বন্দ্ব থামানোর ব্যাপারে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন খোদ তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সম্প্রতি দিনহাটার সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি স্বপন দাসের ভাই জীবন দাসকে অপহরন করার ঘটনায় সেই তৃনমূল ও যুব তৃনমৃলের অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতেই এই জীবন দাস ও মিজানুর রহমান নামে এক তৃনমূল কর্মী বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময়েই গোসানিমারির কাছে পাহাড়গঞ্জে একটি গাড়িতে করে কিছু দুস্কৃতী তাড়া করে তাঁদের বাইক আটকে দেয়। আর এরপরই বন্দুক দেখিয়ে দুই তৃনমূল কর্মীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুস্কৃতিরা। এখানেই শেষ নয়, এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনা দেখলে দুস্কৃতিরা তাড়াহুড়ো করতে তাদের মধ্যে থেকে তিনজনকে সেখানে ফেলে রেখে চলে গেলে সেই তিনব্যাক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, তিনজনের মধ্যে দুইজনই সিতাই গ্রামের চামটা এলাকার বাসিন্দা। আর অপর ব্যাক্তি যুব তৃনমূল নেতা বলে পরিচিত। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। এদিকে অপহৃত দুই ব্যাক্তিকে শুক্রবার দুপুরে দিনহাটার মাতালহাট থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে দুস্কৃতি দলে যুব তৃনমূলের এক নেতার হদিশ মেলায় সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি স্বপন দাস এব্যাপারে জেলার যুব তৃনমূলের সংগঠনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। একই অভিযোগ করে জেলার তৃনমূল নেতা তথা সিতাইয়ের তৃনমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, “পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে বিদায়ী সভাপতির ভাইকে অপহরন করে যুব তৃনমূলের কর্মীরা অশান্তি পাকাতে চাইছে।” এ প্রসঙ্গে জেলার মূল সংগঠনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে যুব তৃনমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ প্রার্থপ্রতীম রায় বলেন, “দুস্কৃতিদের কোনোও রাজনৈতিক পরিচয় হয় না। বোমা, গুলি নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের সাথে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এলাকায় কোনোও বিরোধী দল নেই বললেই চলে। তার ওপর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়া নিয়ে তৃনমূল বনাম যুব তৃনমূলের লড়াই অব্যাহত রয়েছে জেলাজুড়ে। ফলে শীর্ষনেতৃত্বের বারন সত্তেও এবার যুবর দ্বারা মূল সংগঠনের কর্মীকে আপহরনের ঘটনায় ফের দিনহাটা তথা কোচবিহারে শাসকদলের ভেতরে চোরাস্রোতের ইঙ্গিত পাচ্ছেন আনেকেই। আপনার মতামত জানান -