উন্নয়ন বৈঠকে আইনমন্ত্রী ও আইনজ্ঞ সাংসদ দোসর কেন? মমতার দিল্লি সফর নিয়ে প্রশ্ন! কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য September 18, 2019 প্রায় আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করতে চলেছেন। এতদিন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে শুধুমাত্র বিষোদগারই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রের প্রতিটি বিষয়ই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর না পসন্দ। সবেতেই নাক সিঁটকেছেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে বিষোদগারের মাত্রাও বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীকে সেসময় তিনি কোমরে দড়ি বেঁধে ঘোরাবেন বলে বক্তব্য রেখেছিলেন। আজ তাঁর নিজের কথা নিজেকেই গিলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকারের জন্য যেতে হচ্ছে। এ নিয়ে তীব্র কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তৃণমূল দলকে, মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে এই সাক্ষাৎকার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে যাচ্ছেন, তাহলে তার সাথে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র না গিয়ে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ও তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন? ঘোর সন্দেহের দৃষ্টিতে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিকমহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার যখন সিবিআই এর হাত থেকে বাঁচতে পুরোপুরি গা ঢাকা দিয়েছেন, ঠিক সেইসময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী ও আইনজ্ঞকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ অন্যরকম ইশারা করছে । সাথে প্রশ্ন এটাও উঠছে প্রধানমন্ত্রীর সাথে যেকোনো রকম সাক্ষাৎই মুখ্যমন্ত্রী যখন এড়িয়ে গেছেন, তখন ঠিক এই সময়ে, যখন রাজীব কুমার যে কোন মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন সিবিআইয়ের হাতে, মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতে। অঙ্ক কিন্তু অন্য কথা বলছে। এই সাক্ষাৎ নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তীব্র শ্লেষ মিশ্রিত কটাক্ষ সহযোগে বলেছেন, ‘সেটিং কিভাবে করতে হয়, তা খুব ভালোভাবেই জানেন ওঁরা। প্রধানমন্ত্রীকে কোমরে দড়ি দিয়ে নিয়ে আসবে বলেছিলেন। এখন নিজের কোমরে দড়ি পড়ার সময় এসেছে। তাই সংকটকালে মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। রাজীব কুমারের যা হওয়ার হয়েছে। এবার পিসি ভাইপো যাতে বেঁচে যায়, তাই কি তিনি যাচ্ছেন?’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমি তো গোটা বছর কলকাতাতেই থাকি। দিল্লি খুব কম যাই। দিল্লিতে সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী সবাই রয়েছেন তাই কখনো কখনো রাজ্যের কাজে যেতে হয়। এটা রুটিন কাজ।” সাথে তিনি এও বলেন, “দিল্লী যাচ্ছি কারণ রাজ্যের কিছু টাকা পাওনা আছে। এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে গেইলের কিছু প্রবলেম আছে। সুযোগ পেলে সেসব নিয়ে কথা বলব। রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়েও কথা হবে। ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করার বিষয়েও আলোচনা করব।” প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারের ফলাফল যাই ঘটুক না কেন, ফেডারেল স্ট্রাকচার অনুযায়ী কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যেতেই পারেন। তবে এই সাক্ষাৎকারের ফলে ভবিষ্যৎ রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন কোন আলোকপাত ঘটে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -