এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মোদীর হিট অ্যাটাক, চরম বিড়ম্বনায় মমতা! অস্বস্তিতে তৃণমূল!

মোদীর হিট অ্যাটাক, চরম বিড়ম্বনায় মমতা! অস্বস্তিতে তৃণমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একেই হয়ত বলে, মুখের মত জবাব। কেন্দ্রীয় সরকার যখন সরকারি কর্মচারীদের চাহিদাকে মান্যতা দিয়ে তাদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করছে, তখন রাজ্য সরকারের সেই রকম ঘোষণা করার কোনো নাম, নিশান কিছুই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্যজুড়ে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলনে রয়েছেন। কিন্তু তারপরেও এই সরকারের শিক্ষা নেই। কেন্দ্রের কাছ থেকে তারা বারবার বঞ্চনা পাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। তবে কেন্দ্র সেই সরকারি কর্মচারীদের সুখবর দিয়ে মাঝেমধ্যেই যে মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা করছে, সেই সব থেকে শিক্ষা নিতে দেখা যাচ্ছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। সামনেই লোকসভা ভোট। আর তার আগে আজ আবার একটি বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কেন এমন কথা বলা হচ্ছে?

প্রসঙ্গত, আজ সাত সকালে একটি বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়ে দেন তিনি। আর এরপরেই পশ্চিমবঙ্গের যারা সরকারি কর্মচারী রয়েছেন, তারা নবান্নের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তাদের একটাই বক্তব্য যে, কিছুদিন আগেই রাজ্য বাজেটে সামান্য মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করার পথে হেটেছে এই রাজ্য সরকার। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কি হলো? যে ফারাক ছিল কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মহার্ঘভাতার, সেই ফারাক তো একই রইল। আজকে কেন্দ্রীয় সরকার ভোটের আগে ৪ শতাংশ মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করতে পারছে তাদের সরকারি কর্মচারীদের জন্য। কিন্তু রাজ্যের কেন টনক নড়ছে না?

একাংশ বলছেন, এই রাজ্যের সরকার এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কখনও মানুষের ভালো চান না। মানুষ যাতে খুশি থাকে, সেইরকম কোনো পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন না। এই রাজ্য ক্রমশ বিভিন্ন গঠনমূলক দিক থেকে যে পিছিয়ে যাচ্ছে, তা এই সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট। আজকে কেন্দ্রীয় সরকার ভোটের আগে আবার মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি করেছে। এখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হতেই পারে যে, এটা ভোটের রাজনীতি। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু মোদীর কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের খুশি রেখে তাদের মহার্ঘভাতার যে চাহিদা, তা পূরণ করতে পারছেন না? তাহলে তো ধরে নিতে হবে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চরম ব্যর্থ! সেই বিষয় নিয়ে কিন্তু কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের প্রাপ্য দাবি পক্ষে আন্দোলন করেছেন। রাজপথে বসে থাকছেন তারা। কিন্তু তাদের দিকে যখন এই সরকারের নজর যায়নি, তখন কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের ঘুম ভাঙবে না। আসলে বর্তমানে যারা রাজ্যের ক্ষমতায় আছে, তারা একেবারেই অযোগ্য। আর সেটা প্রতি পদে পদে প্রমান হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা শোনান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী আর যাই হোক, নিজের সরকারি কর্মচারীদের তো খুশি রাখছেন। সেদিক থেকে কেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়ে নিজের কর্মচারীদের খুশি রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!