এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অফিসের হাত থেকে বাঁচতে নতুন অস্ত্র ‘করোনা হয়েছে’! কলকাতায় একি হচ্ছে? ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!

অফিসের হাত থেকে বাঁচতে নতুন অস্ত্র ‘করোনা হয়েছে’! কলকাতায় একি হচ্ছে? ঘুম উড়ছে প্রশাসনের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মনোবিজ্ঞানীদের মতে মানুষের মধ্যে যত রকম ডিসঅর্ডার আছে তাদের মধ্যে একটা হচ্ছে অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার। এটা সাধারণত বাচ্চাদের মধ্যে লক্ষ করা যায়। যেমন পরীক্ষার ভয়, রাগী টিচারের কাছে পড়তে যাওয়ার ভয় ইত্যাদি। এর উপসর্গ হিসেবে বাচ্চারা পেটে ব্যাথা, বমি পাওয়া এগুলো বলে থাকে। যদিও অভিভাবকরা তা বিশ্বাস করতে চান না। তবে ডাক্তাররা বলেন এমন অবিশ্বাস করার কিন্তু কোনো কারণ নেই। সেই সমস্ত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সত্যিই কিন্তু এরকম উপসর্গ হয়ে থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রে কিন্তু এমন ডিসঅর্ডার লক্ষ্য করা যায়।

তবে বর্তমানে এক বেজায় মজার খবর পাওয়া গেছে। না না কারো ডিসঅর্ডার নিয়ে কোনো সমস্যা হায়নি, সমস্যা হয়েছে করোনা নিয়ে। এখন করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন শেষে ফের আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থা এখনো সচল হয়নি। উল্টো দিকে অফিসে হান্ড্রেড পার্সেন্ট অ্যাটেনডেন্স এর জন্য চাপ এসেছে। এমন অবস্থায় কি করে অফিস যাওয়া যায়, সেটাই হয়েছে অফিস বাবুদের সবথেকে বড় চিন্তার কারণ। কারণ আর কি বলুন এই করোণা পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোনো মানেই রোগ ডেকে আনা। কিন্তু উপায়ই বা কি! একমাত্র সেই ছোটবেলার অজুহাত যদি কোনো ভাবে কাজে লাগানো যায়, সেই ছিল শেষ পন্থা। তাই বর্তমানে সেই পন্থাকেই কাজে লাগাচ্ছেন কিছু কিছু মানুষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে খোদ পুরসভার প্রশাসকের কাছে একটা সার্টিফিকেট লাগবে এই আবদার জুড়েছেন এলাকার নাগরিকরা। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী করোনা আক্রান্ত হওয়ায়‌ বেশ কিছুদিন তিনি অফিসে যেতে পারেননি। তা লিখে দেওয়ার দাবিও পুরসভার কাছে করেছেন অনেক নাগরিক। পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই বিষয়ে বেশ স্তম্ভিত। তারা বলছেন, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা ইনকাম সার্টিফিকেটের জন্য প্রায়ই লোকজন আসেন সেটা একটা বিষয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বলে অফিসে ছুটির সার্টিফিকেটের আবদার, এমন ঘটনা কেউ বাবার জন্মেও শোনেনি।

শুধু কি এই, নিজের বাড়ির কাজের লোককেও চড়ছেন না কেউ কেউ। বাড়ির পরিচারিকা করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ফলে মালিকের পক্ষে বাড়ি থেকে বের হওয়া সম্ভব নয় এবং তিনি এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন এই কথাও লিখে দেওয়ার দাবি আসছে হরদম। তবে শেষপর্যন্ত করোনা যে আর কত খেল দেখাবে তা সত্যিই বেশ চিন্তার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!