এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নজরে বিধানসভার মহাযুদ্ধ! এবার গনি-গড়েও পদ্মশিবিরে তীব্র ভাঙন শুরু করল ঘাসফুল শিবির!

নজরে বিধানসভার মহাযুদ্ধ! এবার গনি-গড়েও পদ্মশিবিরে তীব্র ভাঙন শুরু করল ঘাসফুল শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের পদধ্বনি যতটাই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে, ততটাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে নানান কর্মব্যস্ততা। নিজেদের সংগঠন কে মজবুত করতে দিন রাত এক করে খেটে চলেছেন এই রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী তথা সদস্যরা। আর অন্য দল থেকে যেভাবে হোক সদস্য ভাঙিয়ে এনে নিজ দলভুক্ত করাতেই প্রবল উৎসাহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে দুটো রাজনৈতিক দলের অবস্থান সবচেয়ে ভালো।

যাদের মধ্যে একটি অবশ্যই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, আর অপরটি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।সম্প্রতি এই দুটো রাজনৈতিক দলের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে দলবদলের হিড়িক। আর বলাই বাহুল্য অন্য দলের সদস্যকে নিজ দল ভুক্ত করবার এই খেলায় বারবার করে শাসক দলের কাছে যেন পরাজয় স্বীকার করছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি।

কারণ সপ্তাহখানেকের বেশি ধরে বিজেপি থেকে তৃণমূলের আসার যেন জলচ্ছাস চলছে। যদিও মাঝে দু’একদিন উল্টো স্রোত দেখা গেছিল, তখন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহু সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে হাজার হাজার বিজেপি কর্মী বিজেপি ত্যাগ করে যোগ দিলেন তৃণমূলে। উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই একই চিত্র চোখে পড়লো।

গতকাল অন্যান্য বেশকিছু জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের মালদহ জেলাতেও দেখা গেলো অনুরূপ ভাঙ্গনের চিত্র। গতকাল পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর সংসদে গত ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিট নিয়ে জয়লাভ করা পঞ্চায়েত সদস্য চৈতন্য মাল বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তিনি একাই শুধু নন, তার সঙ্গে সঙ্গেই তার ৩০০ জন অনুগামীও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল ভুক্ত হলেন।

গতকাল মালদা জেলার ইংরেজ বাজার শহরে ইংরেজ বাজার তৃণমূল পার্টি অফিসের নিকটে আয়োজিত একটি বিশেষ সম্মেলনের অনুষ্ঠানে বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূল ভক্ত হওয়া এই নবাগত সদস্যদের তৃণমূল দলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হলো। বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূল ভুক্ত হওয়া নবাগত তৃণমূলীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দিলেন মালদহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার(বাবলা) । তিনি ছাড়াও গতকাল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। যাঁদের মধ্যে আছেন মালদহ জেলার মহিষবাথান গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মহিষ বাথান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান গুমানী শেখ প্রমুখরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চৈতন্য বাবুর ও তাঁর অনুগামীদের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানএর এই ঘটনায় আনন্দের আতিশয্য দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের শিবিরে। এতজন বিজেপি সদস্যদের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে গতকাল মালদহ জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার জানালেন, ” মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে চেয়েছেন। আমরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই এসেছেন। আগামী দিনে ব্লকজুড়ে আমরা নতুন চমক দিতে চলেছি।”

অন্যদিকে বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূল ভুক্ত হওয়া পঞ্চায়েত সদস্য চৈতন্য মাল এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। বিজেপিকে অভিযুক্ত করে তিনি জানালেন যে, বিজেপির ব্যার্থতার কারণেই মহিষবাথান এলাকায় তিনি উন্নয়নের কাজ পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছিলেন না।এ কারণেই তিনি বিজেপি ত্যাগ করে যোগদান করলেন তৃণমূলে। তাঁর কথায়, ” বিজেপিতে থেকে এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। তাই সরে দাঁড়ালাম।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলটি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস শাসনাধীন রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই অঞ্চলে অভাবনীয় জয়লাভে সক্ষম হয়েছিল। সেবারে এই পঞ্চায়েত এর মোট ১৮ টি আসনের মধ্যে ১১ টিতেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস ও বিজেপি পেয়েছিল তিনটি তিনটি করে আসন। অন্যদিকে সিপিএমের হাতে গিয়েছিলো ১ টি মাত্র আসন। এই পরিস্তিতিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চৈতন্য বাবুর তৃণমূল দলে যোগদানের ফলে এই অঞ্চলে আরো শক্তিশালী অবস্তায় পৌঁছে গেল শাসকদল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!