এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা নিয়ে বিরোধীদের মুখ পুড়লো, বড়সড় জয় পেলো নবান্ন

পুরসভা নিয়ে বিরোধীদের মুখ পুড়লো, বড়সড় জয় পেলো নবান্ন


পুরসভা নিয়ে বিরোধীদের মুখ পুড়িয়ে, বড়সড় জয় পেলো নবান্ন। এদিন শীর্ষ আদালত জানালো যে কলকাতা পুরসভার কাজ বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরই আপাতত চালিয়ে যাবে। বোর্ডের নিয়োগকে বেআইনি বলে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা হয়েছিল, এদিন তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

শুধু তাই নয়, কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বসানো নিয়ে মামলা ফিরল হাইকোর্টে। তবে এই দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েদেয় যে , এই মামলায় রায় দেবে হাইকোর্টই। তবে মামলাটির যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ফলে পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড নিয়োগ নিয়ে যে রাজনৈতিক এবং আইনি বিতর্ক শুরু হয়েছিল তাতে বড় জয় পেল রাজ্য, এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত মেয়র এবং কাউন্সিলরদের কার্যকালের মেয়াদ গত ৭ মে শেষ হয়ে গিয়েছে । তার এক দিন আগে, ৬ মে, রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর কলকাতা পুরসভা আইন র ৬৩৪ নম্বর ধারাঅনুযায়ী পুরসভার কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর গঠনকরে আর সেখানে বলা হয় করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব নয় তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশনও পুরভোট করাতেআগ্রহী নয় এই পরিস্থিতিতে। সে কারণেই পরবর্তী নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত ওই প্রশাসকদের বোর্ড পুরসভার কাজ চালাবে যাতে নাগরিকদের কোনো অসুবিধা না হয়। আর সে কারণেই বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই বোর্ডের চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এতে তীব্র আপত্তি ছিল বিরোধীদের। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রশাসক পদে পদে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রীকে বসানোকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শরদকুমার সিং। কলকাতা পুর নিগমের প্রশাসক বোর্ডকে ‘কেয়ারটেকার বোর্ড’ হিসেবে চিহ্নিত করে এক মাসের জন্য কাজ করার সুযোগ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর এরপরেই  হাইকোর্ট থেকে মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি এম খানউইলকর, দিনেশ মাহেশ্বরী এবং সঞ্জীব খন্নাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে।কিন্তু এদিন আবেদনকারীর মামলা খারিজ করে দেন তাঁরা।

ফলে মামলা ফের ফিরে এল কলকাতা হাইকোর্টে।রাজ্যের দাবি , শীর্ষ আদালত আবেদজনকারীর মামলা খারিজ করে দেওয়ার অর্থ, আপাত ভাবে ওই বিতর্কে বড় জয় পেল রাজ্য সরকার এবং পরের ২০ জুলাই অবধি রাজ্য সরকার নিযুক্ত বোর্ড মসৃণ ভাবে কাজ করে যেতে পারবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!