ফের কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইলো মমতা সরকার, এর পিএম কেয়ার থেকে টাকা দেওয়ার দাবি উঠলো জাতীয় রাজ্য June 3, 2020 সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে পরিত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছিল বহু আগেই, যা এখনো বর্তমান। লকডাউনের কারণে প্রথম থেকেই অফিস কাছারি, স্কুল-কলেজ সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে সব থেকে বেশি বিপদে পড়ে দিন আনা দিন খাওয়া গরিব মানুষ গুলি ও যেসব শ্রমিকরা পেটের খাবার জোগানোর জন্য এবং পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ভিন রাজ্যে অমানবিক পরিশ্রম করতে যান তাঁরা। লকডাউন এর কারণে চরম বিপদের মুখে পড়ে পরিযায়ী শ্রমিকের দল। একে তো তাঁদের কাজ চলে যায় লকডাউনের কারণে। দ্বিতীয়তঃ, তাদের হাতে থাকা টাকা-পয়সাও শেষ হয়ে যায়। ফলস্বরূপ, আগুপিছু চিন্তা না করে সোজা নিজের রাজ্যের দিকে পা বাড়ায় পরিযায়ী শ্রমিকের দল। প্রথম দিকে তাঁরা রাজ্য বা কেন্দ্র কারোর সাহায্য পায়নি। তাই নিজেদের উপর ভরসা রেখে পায়ে হেঁটে বাড়ির পথ ধরে। বর্তমানে অবশ্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন দেওয়া হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গেও লাখ লাখ শ্রমিক ফিরতে শুরু করেছে। অন্যদিকে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা বড় বেশি চোখে পড়ছে। তাই এবার কেন্দ্রের কাছে পিএম কেয়ার থেকে প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে 10000 টাকা দেওয়ার দাবি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা অনুযায়ী, রাজ্যের কোষাগার এইমুহুর্তে সম্পূর্ণ খালি। সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী এবার কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইলেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের এবার রাজ্যেই কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত দপ্তর থেকেই জব কার্ড তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানা গেছে। এমনকি 100 দিনের কাজেও এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের নিযুক্ত করার কথা শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার জন্য যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি চালু করা হয়েছে তার অবস্থাও তথৈবচ। রীতিমতন ঠাসাঠাসি অবস্থায় ফিরে আসছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। দীর্ঘপথের মধ্যেই তাঁরা কোন খাবার বা পানীয় জল পাচ্ছেন না। যে কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বা মৃত্যু হচ্ছে কারোর কারোর। সম্প্রতি মুজফফরের ঘটনা এই দুর্দশার চিত্রটি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্যে ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার কারণে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই নিয়ে শাসক বিরোধী দলেও লেগেছে তরজা। সূত্রের খবর, এতদিন যে জেলাগুলি গ্রীন জোনে ছিল পশ্চিমবঙ্গে, সেখানেও এবার করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ 2000 অতিক্রম করেছে বলে খবর। আপাতত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিতর্ক এবং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় রাজ্য সরকার রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বিরোধীদলগুলো শাসকদলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। আবার সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আমফানের ধাক্কায় রীতিমতো বেহাল অবস্থা এখনো বাংলার। সবদিক সামলাতে গিয়ে রীতিমতন নাকানি-চুবানি খাচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্য সরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপাতত দেখার, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য টাকা দেওয়ার আবেদনে কেন্দ্র কতটা সারা দেয়! প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য পরিদর্শনে এসে হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়ে গেছেন সাথে সাথে। আপনার মতামত জানান -