এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বিপ্লব’ কি উধাও? লোকসভার আগে জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল ফিরিয়ে নিচ্ছে বহিস্কৃত হেভিওয়েট নেতাকে

বিপ্লব’ কি উধাও? লোকসভার আগে জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল ফিরিয়ে নিচ্ছে বহিস্কৃত হেভিওয়েট নেতাকে

সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে লোকসভা ভোটের আগে বহিষ্কৃতদের দলে ফেরানোর একটা প্রক্রিয়া মাসকয়েক আগেই শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস শিবিরে। এবার শাসকদল বহিষ্কৃত নেতা শুভাশিস পাল দলে ফিরতে পারেন বলে খবর রয়েছে দলীয় সূত্রের। সম্প্রতি ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডের জনসভায় তাকে প্রাক্তন জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী সহ একাধিক তৃণমূল নেতার পাশে দেখা গিয়েছিল। সে ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়।

শুভাশিস পাল ওরফে সোনা পালের ঘনিষ্টমহল সূত্রের দাবী,তৃণমূলে ফেরার জন্যে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানালেন,রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই ছয় বছরের জন্যে সোনা পালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শঙ্করবাবুর সঙ্গে সোনা পালের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। হরিরামপুর ও বংশীহারি থেকে কয়েকহাজার সমর্থকদের ব্রিগেডে নিয়ে গিয়েছেন এটা সম্পূর্ণই মিথ্যে কথা। দল কাকে সংগঠনে নেবে আর কাকে ছাঁটাই করবে তার সিদ্ধান্ত একমাত্র রাজ্যনেতৃত্ব নেয়,এ নিয়ে তাঁর কিছু জানা নেই।

সোনা পাল দাবী করেছিলেন হরিরামপুর এবং বংশীহারি ব্লক থেকে ব্রিগেডে তিনি প্রায় দু’হাজার সমর্থকদের নিয়ে গিয়েছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন,দল কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। তৃণমূল তাকে দল থেকে বের করে দিলেও তিনি দলের হয়েই কাজ করেছেন। রাজ্য নেতৃত্ব লোকসভা ভোটের আগে তাকে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্রিগেড সমাবেশে তিন হাজার সমর্থককে নিয়ে গিয়েছেন বলেও দাবী করলেন তিনি।

ব্রিগেডে সোনা পালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল এটা স্বীকার করে নেন শঙ্করবাবু। তবে ব্রিগেডে যে কেউ যেতে পারে বলে সোনা পালকে তেমন আমল দিলেন না তিনি। অন্যদিকে,রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা তপনের বিধায়ক বাঁচ্চু হাসদা বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্ঘবদ্ধভাবে কাজ করার নিদান দিয়েছিলেন। সোনা পাল যদি কোনো দোষ করে না থাকেন তাহলে তাকে আর একবার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন বলেই দাবী করেন তিনি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলবিরোধী কাজ করার জন্যে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় সোনা পালকে। দল থেকে বের করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একাধিক পুরানো অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়। এরপর তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলে,তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশেই সোনা পালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই ঘটনা বেশ শোরগোল ফেলে জেলা রাজনৈতিকমহলে। তারপর থেকে জেলায় সেভাবে আর দেখা যায়নি সোনা পালকে। স্যোশাল মিডিয়া থেকেও নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন তিনি। মাঝেমাঝে মোটর বাইক নিয়ো হরিরামপুর এলাকায় তাঁকে দেখা যায়। এমনটাই খবর জেলা সূত্রের।

পঞ্চায়েত ভোটের প্রেক্ষাপটে সোনা পাল ও বিপ্লব মিত্রের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। এর আগে গত বিধানসভা ভোটে হরিরামপুরে বিপ্লব বাবুর হারের পেছনে সোনা পালের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলেই একাধিক অভিযোগ তোলেন জেলা সভাপতি। এসবের ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক দলবিরোধী কাজে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে সোনা পালকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নেতৃত্ব।

সেই সোনা পালকেই ফের তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে বেশ কয়েকজন নেতার পাশে দেখা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরেই। সোনা পাল লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে ফিরছেন কিন্তু সেটা নিয়েই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। বহিষ্কৃত এই নেতাকে ব্রিগেডে জেলা

যুব কার্যকরী সভাপতি অম্বরীশ সরকারের সঙ্গেও দেখা যায়। সোনা পালের সঙ্গে অম্বরীশের ভালো ঘনিষ্ঠতা রয়েছে বলেও খবর রয়েছে। এদিকে সোনা পাল আবার নিজের স্বীকার করেছেন,তাকে রাজ্য নেতৃত্ব লোকসভা ভোটের আগে দলে ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে কবে এই বহিষ্কৃত নেতা তৃণমূলে ফিরবেন তা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!