পুরসভায় প্রার্থী বাছাই নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূলের! পিকের ফর্মুলা মেনেই বাজিমাতের ভাবনা উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 3, 2019 লোকসভায় তৃণমূল 22 টি আসন পাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রননীতিকার করেছিলেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে। যার পরেই একদিকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের নেতাদের জনসংযোগ, আর অন্যদিকে ভালো ভাবমূর্তির লোকেদের ময়দানে নামানোর কাজ শুরু করে পিকের টিম। কেননা দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বজনপোষণের সঙ্গে জড়িত নেতাদের দেখেই যে লোকসভায় অনেক কেন্দ্রে মানুষ তৃণমূলকে সমর্থন দেয়নি, তা বুঝতে পেরেছিল প্রশান্ত কিশোরের গোষ্ঠী। আর তাই দায়িত্ব নেওয়ার পরই প্রথম রাজ্যের 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে ভালো মুখকে প্রার্থী করে তৃণমূলের জয় এনে দিয়েছিলেন সেই প্রশান্ত কিশোর। যে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে একবারও তৃণমূল জয়লাভ করতে পারেনি সেই কালিয়াগঞ্জে স্বচ্ছ মুখ হিসেবে পরিচিত তপন দেব সিংহ প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অনেকেই ভেবেছিল, লোকসভায় বিজেপি কালিয়াগঞ্জ থেকে 57 হাজার ভোটে লিড পাওয়ায় এবার এখানে তৃণমূল জয়লাভ করতে পারবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তপন দেব সিংহকে দিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করে নেয় ঘাসফুল শিবির। আর এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জ এবং ইসলামপুর পৌরসভার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, বর্তমানে ডালখোলা পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেখানে প্রশাসক বসানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে কালিয়াগঞ্জ এবং ইসলামপুর পৌরসভার। এতদিন নির্বাচনে জিতে এখানে ক্ষমতা দখল করতে পারেনি তৃনমূল কংগ্রেস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্য দল থেকে কাউন্সিলার ভাঙ্গিয়ে এনে তাদের এই তিন পৌরসভা দখল করতে হয়েছে। তবে এবার স্বচ্ছ মুখকে প্রার্থী করে এখানে বোর্ড গড়তে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলায় যেভাবে স্বচ্ছ প্রার্থী করে প্রথম কালিয়াগঞ্জ দখল করেছে তৃণমূল, ঠিক সেভাবেই 3 পৌরসভা নির্বাচনে স্বচ্ছ মুখদের কাউন্সিলরের টিকিট দিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলাকেই মান্যতা দিতে চান জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলে মত একাংশের। যা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয়স্তরের এই পৌরসভা নির্বাচনে মানুষ অনেক ক্ষেত্রে দল অপেক্ষা ব্যক্তির ভাবমূর্তি দেখে সমর্থন করেন। তাই সেদিক থেকে তৃণমূল জেলার এই তিন পৌরসভা দখল করতে সেই ভালো ব্যক্তিদেরই সামনে আনতে চাইছে। যা নিঃসন্দেহে ভালো লক্ষণ বলেই মনে করছে একাংশ। এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, “এমন বেশ কিছু কাউন্সিলারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই, তাদের দল পুরসভার টিকিট দেবে না। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের তিন জায়গায় প্রার্থী করার জন্য খোঁজখবর শুরু করা হয়েছে। কংগ্রেস সহ বিভিন্ন দল থেকে দলবদল করে তৃণমূলে আসা বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।” তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “তাদের সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ এবং সৎ মানুষদের হাতে পৌরসভার শাসন ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে।” আর জেলা তৃণমূল সভাপতির এই কথা মত যদি বাস্তবে তৃণমূল তাদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের নিয়ে এসে প্রার্থী করতে পারে, তাহলে তৃণমূল সম্পর্কে জনমানসে ভালো বার্তা যাবে। কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে তৃণমূল কতটা দাগ কাটতে পারবে এই পৌরসভা নির্বাচনে! তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -