এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সামনে সরকারকে রেখে নতুন স্ট্রাটেজি নিয়ে হাজির তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার, জোর জল্পনা জোর জল্পনা

সামনে সরকারকে রেখে নতুন স্ট্রাটেজি নিয়ে হাজির তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার, জোর জল্পনা জোর জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরই নিজের দলের রণনীতিকার হিসেবে ভোটগুরু হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলশ্রুতি হিসেবে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের সাথে জনসংযোগ করতে “দিদিকে বলো” নামে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পেছনে সেই ভোটগুরুর অসামান্য অবদান রয়েছে বলে মনে করছে একাংশ।

তবে এবার 15 আগস্ট রেড রোডে প্রতিবারের ন্যায় এবারও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানেও কি প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা রয়েছে! তা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে জল্পনা। জানা গেছে, প্রতিবার শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের ট্যাবলো স্বাধীনতা দিবসে রেড রোডে প্রদক্ষিণ করা হয়। কিন্তু এবার এর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরীর জন্যও তিনটি বিশেষ ট্যাবলো থাকছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এবার স্বাধীনতা দিবসে যে আটটি ট্যাবলো থাকছে তার মধ্যে প্রথমটি জল বাঁচানো, তার পরেই বিদ্যুৎ সংরক্ষণ এবং পরবর্তী পরিবেশ সবুজ বাঁচানোর বার্তাবাহী ট্যাবলো। আর এরপরই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উপর যে ট্যাবলোগুলি হয়, সেই ট্যাবলোগুলো থাকবে। কিন্তু হঠাৎ পরিবেশকে বার্তা দিয়ে রাজ্য সরকারের স্বাধীনতা দিবসে এই ট্যাবলো বের করা হচ্ছে কেন!

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর মুখ্যমন্ত্রীকে রাজনীতির নাগপাশের বাইরে এসে পরিবেশ বিদ্যুৎ এবং জল সংরক্ষণের মতো সামাজিক বিষয়ে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর তাই তো কিছু দিন আগেই “জল ধরো, জল ভরো” প্রকল্পকে সামনে রেখে পদযাত্রা করে জনসংযোগে যেতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার পরিবেশ বাঁচাতে আগামী পয়লা আগস্ট রাজপথে হাঁটবেন তিনি। আর এরই মাঝে সেই পরিবেশকে বার্তা দিয়ে স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য সরকারের তিনটি বিশেষ ট্যাবলোর পেছনে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনা রয়েছে বলেই মনে করছে একাংশ।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান হয়। এর সঙ্গে বেসরকারি কোনো ব্যক্তির যোগ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে পরিকল্পনা ও রূপায়নের দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।” এদিকে বিগত বছরগুলিতে স্কুল পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ডাকা হলেও, এবার সেই স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বাছাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

একাংশের দাবি, এবার উত্তরবঙ্গের অনেক জেলাই বাদ পড়েছে। তাহলে কি এক্ষেত্রেও রাজনীতির ছোঁয়া! এদিন এই প্রসঙ্গে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের এক কর্তা বলেন, “সব জেলাকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সুযোগ দিতে হয়। তাই আগের বারের অনেককে ডাকা হয়নি। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই।”

তবে যে যাই বলুক না কেন, তৃণমূলকে যেমন সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগে মেশার জন্য একাধিক পরামর্শ দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর, ঠিক তেমনই এবারের 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে চমকপ্রদ দিকটি সামলানোর জন্য কি পেছনে রয়েছেন সেই প্রশান্ত কিশোর! সেই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে সব মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!