এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অসম্মানই তৃনমূলের সংস্কৃতি! মমতার এ কোন শিক্ষায় শিক্ষিত ভাইপো বাহিনী? সোচ্চার বিরোধীরা!

অসম্মানই তৃনমূলের সংস্কৃতি! মমতার এ কোন শিক্ষায় শিক্ষিত ভাইপো বাহিনী? সোচ্চার বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিমুহূর্তে শিক্ষকদের অসম্মান এবং অমর্যাদা করার একটা রেওয়াজ এই সরকারের আমলে তৈরি হয়েছে। ছাত্র নেতাদের দাদাগিরি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, তারা যেটা বলবে, সেটাই যেন ঠিক। যেমন তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছেন, ঠিক একইভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের ঔদ্ধত্য এবং শিক্ষকদের প্রতি চূড়ান্ত অসম্মান আবার চোখে পড়লো। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। কিন্তু কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠছে? এই ধরনের অভিযোগ উঠছে তার কারণ, রাজ্যপাল কিছুদিন আগেই বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন। আর সেই নির্দেশ অনুসারে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সেখানে একজন বিশিষ্ট মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। আর তারপরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের যে অসভ্যতা ক্যাম্পাসের মধ্যে চোখে পড়েছে, তা দেখে নিন্দায় সরব হচ্ছেন সমালোচকরা।

প্রসঙ্গত, এদিন আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরেই তার ঘরের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বরা। কালো পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যকে মানছি না বলে তারা এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করে, যা দেখে অবাক হয়ে যান অনেকেই। অনেকে বলছেন, ঠিক আছে, রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্য নিয়ে তাদের সমস্যা থাকতেই পারে। তা নিয়ে তারা আপত্তি জানাতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে একজন বিশিষ্ট মানুষের সামনে তাকে কালো পতাকা দেখানো এটা কোন ধরনের সংস্কৃতি? কোন শিক্ষায় নিজের দলের ছাত্র সংগঠনকে শিক্ষিত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অবশ্য যে দলের সর্বোচ্চ নেতা বিজেপির রাজ্য সভাপতির ব্যক্তিগত নম্বর প্রকাশ্যে সকলকে দিয়ে তাকে বিড়ম্বনার মুখে ফেলেন, সেই দলের ছাত্র সংগঠনের কাছে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে এটাও বলা হচ্ছে, অসম্মান এবং অমর্যাদাই তৃণমূলের একমাত্র সংস্কৃতি। একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে তারা রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানাতে পারেন। রাজ্যপাল তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রকে যখন রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের কথা বলেন, তখন তার প্রশংসায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাংলার যুবরাজ। কিন্তু সেই রাজ্যপালের নিয়োগ করা একজন অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে অসম্মান করতে ভাইপো বাহিনী বাকি রাখে না। এতটা অসম্মান কোনো একজন বিশিষ্ট মানুষকে কি করা যায়? এটা কি কোনো সভ্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের পরিচয়? প্রতিবাদের ভাষা তো এমনটা হওয়া উচিত নয়। তৃণমূলের একটু সিনিয়র নেতারা যারা রাজ্যপালকে কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন, এবার কি তাদের পথেই হাঁটছেন এই ছাত্র নেতারা? প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলো।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্য তৃণমূলের আনা সংস্কৃতি যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সমস্ত ক্ষেত্রকেই কার্যত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে এই রাজ্য শাসক দল। কোনো বিশিষ্ট মানুষকে সম্মান পর্যন্ত প্রদর্শন করতে পারেন না এই দলের নেতা-নেত্রীরা। অবশ্য যে দলের ভাইপো মঞ্চে এলে অনেক বর্ষিয়ান নেতারা উঠে দাঁড়ায়, সেই ভাইপো বাহিনী কোনো একজন শিক্ষিত মানুষকে কি করে সম্মান দেবে? তাদের কাছ থেকে এই সম্মান, এই সভ্যতা আশা করা অলীক কল্পনার বিষয়। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!