এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ধর্না নাটক শেষ! কেন্দ্রের গুগলিতে আদালতে নাস্তানাবুদ মমতা? অস্বস্তি বাড়িয়ে চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

ধর্না নাটক শেষ! কেন্দ্রের গুগলিতে আদালতে নাস্তানাবুদ মমতা? অস্বস্তি বাড়িয়ে চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না, এই অভিযোগে পাঁচ দিন কলকাতার রাজপথে ধর্ণার নামে নাটক করেছেন বাংলার যুবরাজ। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। তারা আরও যুক্তি দিচ্ছেন যে, ধর্না, আন্দোলন করার কিছু দরকার নেই। যদি সত্যিই বাংলা বঞ্চিত হয়ে থাকে, তাহলে আগে যে টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছিল, সেই টাকার হিসাবটা দিয়ে দেওয়া হোক। তাহলেই কেন্দ্র তাদের টাকা দিয়ে দেবে। তবে রাজ্য সেই রকম কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিজেপির পক্ষ থেকে ক্রমাগত প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এই রাজ্য দুর্নীতি করেছে। সেই কারণেই হিসাব দিতে ভয় পাচ্ছে। আর এবার গোটা বিষয়টি নিয়ে আদিলতে চলল জোর সওয়াল পর্ব। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমন এক যুক্তি সামনে আনা হলো, যাতে রীতিমতো নাজেহাল হতে বাধ্য হলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, 100 দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। অপরদিকে যারা কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না, তাদের একটি অংশ আবার আদালতে মামলা করেন। আর এই দুই মামলাতেই এদিন জোর সওয়াল হয়। আর সেখানেই বিচারপতি যখন প্রশ্ন করেন যে, কেন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না? আর তখনই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়, 54 হাজার কোটি টাকার অডিট কেন দেওয়া হচ্ছে না? কেন তা দিতে পারছে না রাজ্য! এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত করতে চায় কেন্দ্র বলেও যুক্তি দেন তাদের আইনজীবী। আর এবার একেবারে আদালতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই যুক্তি এবং সিবিআই তদন্তের ব্যাপারে আওয়াজ তোলার কারণে চোখের সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করবেন তৃণমূল নেতারা। অন্তত তেমনটাই বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত ভয় পাচ্ছেন। কারণ তিনি জানেন, তার সরকার এই একশো দিনের কাজে দুর্নীতি করেছে। বেছে বেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে টাকা ঢুকেছে। সাধারণ মানুষ টাকা পাননি। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার হিসাব দিতে বলছে। তাই সিবিআই যদি একবার তদন্ত শুরু হয়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে। যুবরাজ এতদিন ধরে যে নাটকটা করে নিজে হিরো সাজার চেষ্টা করেছেন, তিনিও জিরো হয়ে যাবেন। তাই যা ভাবমূর্তি এখনও পর্যন্ত টিকে রয়েছে, তার রক্ষার চেষ্টায় হয়তো শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের বিরুদ্ধে নানা যুক্তি আদালতে দেবে রাজ্য। কিন্তু  তাতে কতটা লাভ হবে, তা সময় বলবে। তবে মোটের ওপর কেন্দ্রীয় সরকার যে সিবিআই তদন্তের পথেই হাঁটতে চাইছে এই একশো দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে, তা স্পষ্ট। আর তার ফলে তৃণমূলের কপালে ঘাম ছুটবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা বিষয়টি নিয়ে যখন কেন্দ্র এক যুক্তি দিচ্ছে এবং রাজ্য আর এক যুক্তি দিচ্ছে, তখন কোনো একটা তদন্ত হওয়া নিশ্চিত প্রয়োজন‌। আর সেটা যদি সিবিআই তদন্ত হয় এবং রাজ্য সরকার যদি এতটাই বিশ্বাসী হয় যে, তাদের আমলে কোনো দুর্নীতি হয়নি, তাহলে তাতে এত আপত্তি জানানোর বিষয় আসছে কোথা থেকে? সিবিআই তদন্ত যদি হয়, তাহলে তো সত্য উঠে আসবে। আর তখন তো তৃণমূল নেতারা বড় বড় গলায় দাবি করতে পারবেন যে, তারা চুরি করেননি। নাকি তারা চুরি করেছেন, এই ভয় তাদের মনের মধ্যে রয়েছে? তাই সেই কারণে কেন্দ্র আদালতে একশো দিনের কাজে দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের কথা বললেও, রাজ্য কিছুটা হলেও তাতে আপত্তি জানাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!