এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুরসভা নির্বাচনের আগে জনমোহিনী সিদ্ধান্ত কোচবিহার তৃণমূল বোর্ড পরিচালিত সরকারের

পুরসভা নির্বাচনের আগে জনমোহিনী সিদ্ধান্ত কোচবিহার তৃণমূল বোর্ড পরিচালিত সরকারের

যাঁরা সরকারি চাকরির সুযোগ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এবার রাজ্য সরকার নিয়ে এলো সুখবর। এবার বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে কর্মসংস্থানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার। আবারও একবার কাজের সুযোগ পেতে চলেছে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীরা। পুরসভা নির্বাচন হতে আর বেশী দেরী নেই। তার আগেই রাজ্যের মন পেতে আরো একবার জনমোহিনী সিদ্ধান্ত তৃণমূল সরকারের। এবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কোচবিহার পুরসভার 14 টি পদে কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেখানকার তৃণমূল বোর্ড পরিচালিত পুরসভা।

ইতিমধ্যে এই নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবির তৃণমূল শাসকের এই সিদ্ধান্তে তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সামনেই আসছে পুরসভা নির্বাচন আর তার আগেই কোচবিহার পুরসভায় এহেন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিরোধীরা সরব হয়েছে। বিরোধীরা জানিয়েছে, কিছুদিন আগেই কোচবিহার পুরসভা বিভিন্ন পদে কর্মী নিয়োগ করে স্বজনপোষণ করে। এবার আবার পুরসভা নির্বাচনের আগে এই নিয়োগ কেন? এদিন পদ্ম শিবির পুরো ব্যাপারটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি বিজেপি শিবিরের দাবি, যেসব কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে চুক্তিভিত্তিক ভাবে কাজ করে চলেছে কোচবিহার পুরসভায়, তাঁদেরকে পাকাপাকিভাবে নিয়োগ করতে হবে।

অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে কোচবিহার পুরসভার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, যতবারই নিয়োগ হয়েছে কোচবিহার পুরসভায় প্রত্যেকবারই রীতিমতো নিয়মকানুন মেনেই নিয়োগ-প্রক্রিয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার পুরসভায় স্টোরকিপার, ওয়ার্ড সুপারভাইজার, সাফাই কর্মী, পিওন ও গ্যারেজ কর্মীর মতন পদগুলি খালি থাকার দরুণ সেখানে উপযুক্ত কর্মী নিয়োগ করা হবে। এদিন কোচবিহার পৌরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান ভূষণ সিং জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই কোচবিহার পৌরসভার কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে চলতি সপ্তাহেই। আপাতত 14 টি পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কোচবিহার পৌরসভার নির্বাচনের আগে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা জানিয়েছেন, ‘পুরসভায় নতুন করে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুনেছি, এরমধ্যেই বিজ্ঞাপন বেরবে। শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিরোধী আমরা নই। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করা হোক। ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এসব করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় জানিয়েছেন, ‘পুরসভায় কিছুদিন আগে নিয়োগ হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের অভিযোগ ছিল। এবারে নিয়োগে স্বচ্ছতা না থাকলে আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলন হবে। পুর ভোটের আগে এটা আসলে একরকম চমক।’

অন্যদিকে, পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ইতিমধ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। তৃণমূলের পুরসভা শাসিত কোচবিহার পুরসভার বিভিন্ন খামতি নিয়ে ইতিমধ্যে সুর চড়িয়েছে তাঁরা। আর তার মধ্যেই কোচবিহার পুরসভায় কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এদিন কোচবিহার পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যেসব পদে নিয়োগ হবে সেগুলি হল একজন সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন ক্লার্ক, দুজন ড্রাইভার, দুজন পিয়ন, ছজন মজদুর ও দুজন সুইপার।

ইতিমধ্যে শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বেকারত্ব কমানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া চলছে ঠিকই তবে রাজ্য সরকার যদি পরিকল্পনামাফিক চলে, তাহলে বেকারত্ব ঘোচানোর সঠিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে। অন্যদিকে, শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে বিরোধীদের দাবি, পুরোটাই আগামী দিনের ভোটের কথা মাথায় রেখেই করা হচ্ছে। শাসক দল পুরনির্বাচনে আবারও স্বজনপোষণের ব্যবস্থা করছে বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। আপাতত পুরো ব্যাপারটির ওপর নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!