এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর সিবিআই, পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতির! কোন পথে নারদের ভবিষ্যৎ?

নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে তৎপর সিবিআই, পাল্টা প্রশ্ন বিচারপতির! কোন পথে নারদের ভবিষ্যৎ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সকলেই তাকিয়েছিলেন নারদ মামলার ভবিষ্যতের দিকে। কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, তার দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যের। সুপ্রিমকোর্টে এই মামলা করার পর শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যার পরে আবার সেই মামলা হাইকোর্টে ফিরে আসে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বুধবার এই মামলা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নারদ মামলার শুনানিতে কি হয়, তার দিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যবাসীর।

অবশেষে সামনে এল সেই নারদ মামলার ভবিষ্যৎ। জোর সওয়াল পর্বের মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের তর্ক বিতর্ক চরম আকার ধারণ করে। যেখানে হেভিওয়েট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে সেই মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। পাল্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে এইভাবে শুধুমাত্র হেভিওয়েট বলে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে রাখা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দুটোয় হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে শুরু হয় নারদ মামলার শুনানি। যেখানে সেই শুনানি পর্বের প্রথমে কেন এই মামলায় রাজ্যকে পার্টি করা হয়নি, তা নিয়ে সরব হন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। আর তারপরই রাজ্যকেই পক্ষ করতে তাদের যে কোনো অসুবিধে নেই তা জানিয়ে দেন সলিসিটর জেনারেল পরবর্তীতে প্রক্রিয়ায় রাজ্যকে পক্ষ করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিকে এরপরই এই বিচার প্রক্রিয়ায় প্রভাব সৃষ্টি করার অভিযোগ তোলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। যার জেরে তার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিচারকে প্রভাবিত হওয়ার প্রমাণ না থাকলে আমরা কি করতে পারি! দেশে প্রচুর হাইপ্রোফাইল গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। সেখানেও মানুষের আবেগ আছে, কান্না থাকে। কিন্তু প্রমাণ করতে হবে যে, বিচারক তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। সেটা না হলে এই উদাহরণ আপনাদের বিপরীতে যেতে পারে।”

পাশাপাশি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বিচারব্যবস্থায় প্রভাব সৃষ্টি করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দেন আর এক বিচারপতি হরিশ টন্ডন। স্বভাবতই এই ঘটনার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একইভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে তিনি বলেন, “রাজ্যে ভয়াবহ দুর্যোগের সময় হেভিওয়েটরা কাজ করতে পারেননি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর জোর সওয়াল পর্ব যখন চলছে, ঠিক তখনই এর প্রভাব সৃষ্টি করার অভিযোগে অন্য রাজ্যে যাতে এই নারদ মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বলা বাহুল্য, নারদ কান্ডে যেদিন রাজ্যের চার হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, সেদিনই সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হতে দেখা যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিবিআই দপ্তরের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। আর সেদিন থেকেই রাজ্যে এই মামলা চললে শাসক দলের নেতা কর্মীরা তাতে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ করে আসছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আর হাইকোর্টে চূড়ান্ত শুনানির সময় সেই বিষয়টি তুলে ধরে অন্য রাজ্যে সেই মামলা সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আবেদন করতে দেখা গেল সিবিআইকে। যদিও বা এই ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমাদের সামনে সম্পূর্ণ মামলা আছে। গ্রেফতার আইনি না বেআইনি এটাই দেখতে পারি‌। আমরা গোটা প্রক্রিয়াকে পূর্ববর্তী অবস্থা নিয়ে যেতে পারি। কিন্তু তার জন্য প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য থাকা দরকার।”

স্বাভাবিক ভাবেই জোর সওয়াল পর্ব চলাকালীন নারদ মামলার শুনানি যে এদিনও বেশ জমজমাট হল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে রাজ্যকে পক্ষ করার আবেদন, অন্যদিকে সিবিআইয়ের অন্য রাজ্যে মামলা সরিয়ে নেওয়ার আবেদন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের এইভাবে গ্রেপ্তার করায় কাজের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন। সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত নারদ মামলার ভবিষ্যত কি হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!