এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা সংক্রমণ থেকে কি মিলবে এবার নিষ্কৃতি? এসে গেছে নতুন উপায়

করোনা সংক্রমণ থেকে কি মিলবে এবার নিষ্কৃতি? এসে গেছে নতুন উপায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যত দিন যাচ্ছে, ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বৈ কমছে না। সংক্রমণের পরিমাণ যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি দেশের প্রতিষেধকের অভাব অন্যতম আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিবডি প্রয়োগের কথা ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই অ্যান্টিবডি কোনো ভারতীয়দের শরীরে প্রয়োগ করা হয়নি। মূলত:, আলোচনাতেই থমকে ছিল পুরোটা. কিন্তু এবার ভারতেও করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় প্রথমবার ব্যবহৃত হয়েছে করোনার অ্যান্টিবডি।

এই অ্যান্টিবডি ব্যবহারের দৌলতে কমর্বিডিটি থাকা সত্বেও সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এক অশশীতীপর বৃদ্ধ রোগী। প্রথমবার হরিয়ানার একটি হাসপাতালে ব্যবহার করা হলো মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। এই অ্যান্টিবডিটি পরীক্ষাগারেই তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বর্ষীয়ান করোনা রোগী বাড়ি ফিরে এসেছেন সুস্থ হয়ে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি গবেষণাগারে তৈরি হয়েছে এবং এই অ্যান্টিবডিতে ওষুধের যে সংমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে তা অ্যান্টিবডির বিকল্প হিসেবে কাজ করছে করোনা রোগীর শরীরে। এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে করোনা আক্রান্তের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক বেশি সক্রিয় করে তুলছে। প্রসঙ্গত জানা যায়, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকেও এই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যান।

উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং ইউরোপে এই ওষুধ সবথেকে বেশি প্রয়োগ হয়। করোনা ধরাপড়ার 7 দিনের মধ্যে যদি এই অ্যান্টিবডি প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তা উল্লেখযোগ্য ফলাফল তৈরি করে করণা আক্রান্তের শরীরে। অ্যান্টিবডি প্রয়োগের কারণে রোগীর শরীরে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখার কথা জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফ থেকে।

জানা যাচ্ছে, এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে ক্যাসিরিভিম্যাব এবং ইমডেভিম্যাব এই দুই ওষুধের সংমিশ্রণে যা রোগীর শরীরে প্রবেশ করলে করোনা ভাইরাসকে ঢুকতে বাধা দেয়। সবমিলিয়ে এই অ্যান্টিবডি যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে করোনা আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। আপাতত এই অ্যান্টিবডির কর্মক্ষমতা বলা হচ্ছে 70 থেকে 80 শতাংশ। এই পার্সেন্টেজ এর পরিমাণ বাড়ানো যায় কিনা, এখন সেটাই লক্ষ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!