এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২৪-এ মোদীর বিরুদ্ধে মুখ কি মমতাই? দিল্লি সফরের পরেই নিশ্চিত বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন?

২৪-এ মোদীর বিরুদ্ধে মুখ কি মমতাই? দিল্লি সফরের পরেই নিশ্চিত বাঙালি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় নব্বই দশকের গোড়ার দিক থেকেই ভারতবর্ষের শাসন ক্ষমতা বলতে বিশ্ববাসীর কাছে দুটি দল প্রাসঙ্গিক। হয়, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, না হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। একাধিকবার দিল্লির ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমতাসীন হয়েছে এই দুটি দলের মধ্যে যে কোনো একটি। বর্তমানে তার মধ্যে একটি দল দুর্বল হয়ে পড়াতে গোটা দেশজুড়ে এক বিশাল বিরোধী শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে সোজাসুজিভাবে দাঁড়ানোর মত তেমন কোনো রাজনৈতিক দল ছিল না বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

এক্ষেত্রে বারবার তৃতীয় ফ্রন্টের চেষ্টা চালানো হলেও, তার নেতা কে হবে, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, সেই জল্পনায় বারবার ভন্ডুল হয়েছে তৃতীয় ফ্রন্টের স্বপ্ন। কিন্তু 2019 সাল থেকে শুরু করে 2021 সাল পর্যন্ত, ভারতবর্ষের রাজনীতিতে অনেক পট পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুবাদে অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লোকপ্রিয়তা হারিয়েছেন, এই বিষয়ে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তবে কি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ হিসেবে উঠে আসবেন পশ্চিমবঙ্গের টানা তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

ক্রমেই জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন। কারণ, বিগত বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছেন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এবং তার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের রাজনৈতিক ক্যারিশমাকে কাজে লাগাতে এতোটুকু জমি ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী মোদী। এক্ষেত্রে দেশের একটা বড় অংশ মনে করেছিল, মোদী ম্যাজিক কার্যকর হবে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ঝড়কে বাংলায় পরাস্ত করতে সক্ষম হন সর্বভারতীয় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ওপরে ভিত্তি করেই এখন ভারতবর্ষের একটা বড় বিরোধী অংশের দাবি, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যদি শক্তিশালী কোনো মুখ দাঁড় করাতে হয়, তাহলে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এর মাঝেই একুশে জুলাই থেকে শুরু করে দলের একাধিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে টার্গেট দিল্লির কথা ঘোষণা করেছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিরোধী দলের নেতাদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। আর এর মাধ্যমেই 2024 সালে তার দল দিল্লির ক্ষমতা পরিবর্তনের ব্যাপারে যে কতটা আশাবাদী, তা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোদীর বিরুদ্ধে মুখ হয়ে ওঠার লড়াইয়ে চেষ্টায় কোনো খামতি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি তাকে সহযোগিতা করার জন্য কংগ্রেস থেকে শুরু করে একাধিক বিরোধী দলের নেতারা এগিয়ে এসে সওয়াল করেছেন।

একাংশ বলছেন, ভারতবর্ষের লোকসভার নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নয়। বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষ ভোটের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে পড়লেও সারা ভারতব্যাপী রাজনীতির স্বরূপটা এরকম নয়। যে কারণে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে লড়াইয়ে বার বার পিছিয়ে পড়তে হয়েছে ভারতবর্ষের জাতীয় কংগ্রেসকে, সেই একই তকমা কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গায়েও সাটা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। যাকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহার ইত্যাদি হিন্দু বেল্ট এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ করলে জোর ঝটকা খেতে হতে পারে বিরোধীদেরকে বলে দাবি একাংশের।

সেই অবস্থানে বিরোধীদলগুলো কতটা ঝুঁকি নিতে রাজি হবেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে অনেকে। সব কিছু মিলিয়ে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেমন কোনো বিরোধী মুখ নেই বিরোধী শিবিরের কাছে, তেমনই নতুন মুখ আবার কারণে ঝুঁকির অবকাশও ষোলআনা থেকে যাচ্ছে। এখন পরিশেষে বিরোধীদের রাজনৈতিক মুখের লড়াইয়ে কতটা এগিয়ে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!