এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অপহৃতা নাবালিকা ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ হতেই ‘খুঁজে পাওয়া গেল’, হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা রাজ্য পুলিশকে

অপহৃতা নাবালিকা ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ হতেই ‘খুঁজে পাওয়া গেল’, হাইকোর্টের তীব্র ভর্ৎসনা রাজ্য পুলিশকে

গত 2016 সালের 1 অক্টোবর সকাল 10টার সময় বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মীর আয়জাদ আলির একমাত্র মেয়ে। কিন্তু এরপর মেয়ে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় বা তাঁর কোনো খোজ না মেলায় সেই বছরেরই 3 অক্টোবর এই ব্যাপারে দেগঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু মেয়েকে খুঁজতে থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এই ব্যাপারে গা ঢিলেমি করছে বলে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন সেই মীর আয়জাদ।

কোনো উপায় না দেখে গত 2017 র 22 মার্চ তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই গোটা বিষয়টি তদন্তের জন্য 30 মার্চ তা সিআইডির হাতে তুলে দেন। কিন্তু এরপরও সিআইডি কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন মীর আয়জাদ।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে সিআইডি একটি রিপোর্ট আদালতে দাখিল করলে ক্ষুদ্ধ বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া বলেন, “অপহৃত হওয়ার সময় মেয়েটি নাবালিকা ছিল। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেই কেন পুলিশ তাঁকে আদালতে হাজির করাল? ” এদিন এই ব্যাপারে সেই আবেদনকারীর আইনজীবি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথা বলেন। আর এরপরই বিচারক এই বিষয়ে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে হাজির করানোর কথাও বলেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 এদিকে এই বিষয়ে এদিন কেন্দ্র এবং রাজ্যের এসওপিও জমা পড়েছে কোলকাতা হাইকোর্টে। জানা যায়, ইতিমধ্যেই এক জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শীর্ষ আদালত এক রায়ে উল্লেখ করেছে যে, কোনো নাগরিকের মৌলিক রক্ষায় যদি রাষ্ট্র নজড় না দেয় তবে প্রতিটি হাইকোর্টকে এব্যাপারে কড়া নজড় রাখতে হবে। তাই সব মিলিয়ে অপহৃত হওয়ার সময় নাবালিকা থাকলেও প্রাপ্তবয়স্ক হতেই তাঁকে আদালতে হাজির করানোর রাজ্যের পুলিশকে তিরস্কার করল কোলকাতা হাইকোর্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!