লকডাউনের বিরুদ্ধে সরব প্রশান্ত কিশোর, করোনা অবহেও রাজনীতি করার অভিযোগ ভোট গুরুর বিরুদ্ধে ! কলকাতা জাতীয় রাজ্য April 15, 2020 করোনাকে আটকানোর জন্য লকডাউন একমাত্র উপায়। কিন্তু ইতিমধ্যেই টানা 21 দিনের লকডাউন সেরে উঠেছে। আর দেশের এই লকডাউন সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই আবার 3 মে পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর একের পর এক লকডাউনের সম্মুখীন হওয়ায় এবার কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিশিষ্ট নির্বাচনী রননীতিকার তথা তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার একটি টুইট করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রশান্তবাবু। তিনি বলেন, “সরকার শুধু একটা পরিকল্পনা নিয়ে চলছে নাকি বিকল্প কোনো পরিকল্পনার কথা ভাবা আছে! যদি লকডাউনের পর প্রকোপ না কমে, তাহলে সরকার কি করবে! এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে লকডাউনের যৌক্তিকতা বা প্রকারভেদ নিয়ে কথা বলার আলোচনা করার কোনো মানে হয় না। এখন আসল প্রশ্ন, যদি 3 মে পর্যন্ত ঘরে আটকে থাকার পরও প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া যায়! আমাদের আদৌ কি কোন বিকল্প পথ আছে! আমাদের আদৌ ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে তো!” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এতদিন লকডাউন নিয়ে সেভাবে প্রশান্ত কিশোর কোনো মুখ না খুললেও, দ্বিতীয় দফায় ফের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে লকডাউন বাড়ানোর পরই প্রশান্ত কিশোরের কটাক্ষের মুখে পড়তে হল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোর এই কথা বলে বিজেপি বিরোধীতার পরিচয় দিলেন ঠিকই। কিন্তু তার মাথায় রাখা উচিত, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনাকে প্রতিহত করার জন্য একমাত্র উপায় লকডাউন। ফলে যদি কেন্দ্রীয় সরকার তা না করে, তাহলে অসুবিধায় পড়বে গোটা দেশ। তাই সেদিক থেকে মনে মনে প্রশান্ত কিশোর লকডাউন একমাত্র কার্যকরী উপায় বলে মনে করলেও, বাস্তবে তিনি যে বিরোধিতা করলেন, তা শুধুমাত্র বিরোধিতা করার জন্যই বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও হঠাৎ প্রশান্ত কিশোরের এই সরব হওয়া এখন করোনা পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে রাজনীতিকে কোন দিকে নিয়ে যায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -