ভোট এগিয়ে এলেও প্রচারে শিথীলতা, একাধিক নতুন মুখই কি কারন! বাড়ছে গুঞ্জন! রাজনীতি রাজ্য March 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বিধানসভা নির্বাচন। প্রায় সকল রাজনৈতিক সমীক্ষকদের মতে, অন্যান্য বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এবারের নির্বাচনের চালচিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। বিগত দিনে অন্তত 10 বছর এরকম নির্বাচন দেখেনি বঙ্গবাসী। তবে 10 বছরের মধ্যেই এরকম সমতুল্য যদি কোনো নির্বাচন বলতেই হয়, তাহলে 2011 সালের নির্বাচনের সঙ্গে কিছুটা তুলনা করা যেতে পারে এই নির্বাচনের। একদিকে গোটা ভারতবর্ষের শেষে বঙ্গ দখল করার স্বপ্নে মরিয়া ভারতীয় জনতা পার্টি, অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে নাছোড় তৃনমূল কংগ্রেস। তাই এবারের নির্বাচন প্রতিমূহুর্তে নজর কাড়ছে রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে গোটা দেশবাসীর। কিন্তু নির্বাচন বিশেষ হলেও অন্যান্য নির্বাচনের প্রচারের তুলনায় এবারের নির্বাচনী প্রচারকে অনেকটাই শিথিল বলছে নির্বাচনী বিশেষজ্ঞরা। হেভিওয়েট নেতাদের প্রচারের ক্ষেত্রে নয়, তবে গ্রাউন্ড জিরোতে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেকটাই আলস্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, প্রায় সমস্ত কেন্দ্রেরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃনমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি উত্তর থেকে দক্ষিণ, নির্বাচনের বহু আগে থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। শুধু দলনেত্রী একা নন, তার সঙ্গে দলের বর্তমান সেকেন্ড ইন কমান্ড বলে পরিচিত তৃনমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক নেতা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এই জেলা শুরু করে ওই জেলা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপির ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে সর্বদাই সোচ্চার তৃনমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু শীর্ষ মহলের এত ঘনঘটা সত্ত্বেও অন্যান্যবার নির্বাচনের প্রাক্কালে যেরকম সাজোসাজো রব দেখতে পাওয়া যায় জেলা থেকে বুথস্তরে, এবার কিন্তু সেখানে অনেকটাই পতন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এই ধীরতা প্রকটভাবে সামনে আসছে উত্তরবঙ্গ থেকে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার সুবাদে ধীরে ধীরে দেওয়াল লিখন সম্পন্ন হলেও, জনসংযোগ থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক, পথসভা থেকে শুরু করে মিছিল মিটিং, কোনোকিছুই প্রকটভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এবারের প্রার্থী তালিকায় অনেক নতুন নাম যুক্ত করেছেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণেই যে সমস্ত স্তরে একেবারে আমূল বদল হয়েছে প্রার্থীতে, সেই সমস্ত জায়গায় নির্বাচন নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা না থাকায় তৈরি হয়েছে সমস্যা। রাজনীতিতে নবাগত প্রার্থীদের তাই সর্বস্তরের কর্মীদের সঙ্গে বসে আলোচনার ভিত্তিতে প্রচারের রুপরেখা, সবটাই স্থির করতে হচ্ছে। আর সেই কারণেই এই বিলম্ব। আবার আরেক অংশ বলছেন, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা পার্টি এখনও পর্যন্ত তাদের প্রার্থী তালিকা সম্পূর্ণ রূপে প্রকাশ করেনি। সেইজন্য এত ঢিলেমি বলেই দাবি করছে একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, নির্বাচন জমজমাট হয়ে প্রচার পর্বে। যদি প্রচার ঠিকঠাক না হয়, তাহলে নির্বাচনী ময়দান অতটা সরগরম হয়ে ওঠে না। কিন্তু এবার অত্যাধিক নতুন মুখ থাকার কারণে প্রার্থী পরিচিতি থেকে শুরু করে সংগঠনকে নতুন করে সাজানো, এই সমস্ত কিছু করতে হচ্ছে সকল রাজনৈতিক দলকে। আর সেই কারণেই প্রচারের ময়দান অতটা সরগরম হচ্ছে না বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -