বড় খবর! ১০ হাজার ভারতীয়র উপর বিশেষ নজরদারি চীনের? তালিকায় মোদী থেকে মমতা সহ একাধিক হেভিওয়েট আন্তর্জাতিক জাতীয় September 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চীন ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চীন ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে অনুপ্রবেশ করার এবং ভারতীয় জায়গা দখল করার। আর তাই নিয়েই লেগেছে ভারতের সাথে চীনের ঠান্ডা যুদ্ধ। যদিও জানা যাচ্ছে, সীমান্তে দুই পক্ষের সেনাবাহিনীরা রীতিমতো তৎপর হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যুদ্ধ প্রায় দোরগোড়ায় বলা যেতে পারে। এই অবস্থায় এবার জানা যাচ্ছে নতুন একটি খবর যা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের সূত্রে জানা গিয়েছে, 10000 বিশিষ্ট ভারতীয়দের ওপর ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে একটি চীনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। 10000 ভারতীয়দের মধ্যে যেরকম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছেন, ঠিক সেরকমই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন, আছেন ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকরও। মনে করা হচ্ছে রাজনীতি, বিনোদন, ক্রীড়া, সংবাদ মাধ্যম। এমন কী অপরাধী ও জঙ্গিদের সম্পর্কেও ক্রমাগত তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড। যার অন্যতম ক্লায়েন্ট হল শি জিনপিং সরকার, পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। যদিও ভারতীয়দের ওপর নজর রাখার প্রসঙ্গে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে গেছে আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে। অন্যদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী জানা গিয়েছে, চিনা তথ্যপ্রযুক্তির নজরদারিতে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সহ শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাচীনা তথ্যপ্রযুক্তির নহরে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরো অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রত্যেকের সম্পর্কে ক্রমাগত তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে উক্ত তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। শুধু রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের নয়, চীনা কোম্পানীর তালিকায় রয়েছে বিচারপতি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের কর্মীদের পাশাপাশি শচীনের মতন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রত্যেকের কাজকর্ম, তাঁদের গতিবিধি ক্রমাগত সংগ্রহ করছে চীনের ওই তথ্যপ্রযক্তি সংস্থা। অন্যদিকে কিভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে তদন্ত চালাতে গেলে দেখা গেছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে, বিভিন্ন গবেষণা পত্র, প্রতিবেদন বা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি মতন বিভিন্ন বিষয় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ক্রমাগত। এছাড়াও শেনহুয়ার নিজস্ব মনিটরিং অ্যাপ রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সহ আরো বহু জায়গায় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে এই তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি। অন্যদিকে জাতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এই খবর উঠে আসার পরেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তৎপর হয়েছে দেশের বিরোধী প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের রণদীপ সিং সূরজওয়ালা টুইটের মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপর চীন ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবং সে কথা মোদি সরকার জানতেন না তা কি স্বাভাবিক? তবে চীনের এই তথ্য সামনে আসার সাথে সাথেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপর নজর রেখে আগামী দিনে কি পরিকল্পনা করতে চলেছে তা জানা অত্যন্ত জরুরী। তবে চীনের আগ্রাসী মনোভাবকে টক্কর দিতে এবার রীতিমতো তৈরি ভারত বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত নিয়ে এ দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ। তার মধ্যে এই নতুন খবরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। আগামী দিনে এই সমস্যা কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই এখন লক্ষ্য রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -