এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুসলমান হিতৈষী মমতা এখন কেন তাদের ঘরে ফিরতে দিচ্ছেন না? বিস্ফোরক প্রশ্ন দিলীপের

মুসলমান হিতৈষী মমতা এখন কেন তাদের ঘরে ফিরতে দিচ্ছেন না? বিস্ফোরক প্রশ্ন দিলীপের


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারবার মুসলিম তোষণের অভিযোগ করে এসেছে বিরোধীদের একাংশ। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে বেশকিছু আসন হারানোর পর প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বলতে শোনা গেছে, “যে গরু দুধ দেয়, তার লাথি খেতে আমি রাজি।” যা নিয়ে নানা সময় নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আর এবার করোনা সংকটের মুহূর্তে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি, ঠিক তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “মুসলিম হিতৈষী” বলে কেন মুসলিম সম্প্রদায়ের পরিচয় শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছেন না, তা নিয়ে বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

বস্তুত, লকডাউনের ফলে অনেক পরিযায়ী শ্রমীক বাইরে থাকায় বর্তমানে তাদের ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু একের পর এক স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে সেই সমস্ত শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে সম্প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত শ্রমিক একসাথে রাজ্যে ফিরলে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি এই ব্যাপারে রেলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই এবার তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করার অভিযোগ করলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যে কাজ নেই‌। তাই মুর্শিদাবাদ, মালদহের মুসলমান সম্প্রদায়ের যুবকরা পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে ছুটে গিয়েছেন। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুসলিম সমাজের এত হিতৈষী, তিনি তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই সম্প্রদায়ের পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না? তাদেরকে শুধু ভোটব্যাংক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবহার করছেন। মুসলিম সমাজ এটা বুঝুক।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই কথা বলে সংখ্যালঘু সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের সেন্টিমেন্টে আঘাত করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের পাশে ঠিকমত দাঁড়াচ্ছে না। এক্ষেত্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি একথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুসলিম সমাজের চোখে খাটো করার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছে সমালোচকদের একাংশ। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।

সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্য সরকারের উদাসীন মনোভাবের জন্যই মন্ত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। পাশাপাশি ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকানো নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন দীলিপবাবু।

তিনি বলেন, “আমাদের আটকে দেওয়া হলে কর্মীরা ত্রাণ বিক্রি করছে। সুতরাং আমাদের আটকানোর বিষয়টা পুরোটাই রাজনীতি। ওনাদের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। আমরা গেলেই দোষ!” সব মিলিয়ে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে আসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে খন্ডন করে পাল্টা সরকারকে চাপে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!