এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কোন জাদুতে এত সম্প্রতি ভাইপোর ? উত্তরের আশায় মুখিয়ে বাংলার বেকাররা ! জবাব দেবেন যুবরাজ ?

কোন জাদুতে এত সম্প্রতি ভাইপোর ? উত্তরের আশায় মুখিয়ে বাংলার বেকাররা ! জবাব দেবেন যুবরাজ ?


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বরাবরই নিজেকে সততার প্রতীক এবং গরিব পরিবারের মেয়ে বলে দাবি করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস 2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর যে পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা, তা কার্যত শোরগোল ফেলে দেওয়ার মত। আশ্চর্যের বিষয়, কিছু না করেও তার এক ভাইপো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে ভাইপোর নাম করে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা দেখে অনেকে বলছেন, সত্যিই তো তাই। বেকার যুবকরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, তাদের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। তারা চাকরি পাচ্ছেন না। কিন্তু রাজ্যের একজন ভাইপো, চার তলা বাড়ি হাকিয়ে বসে রয়েছেন। গাড়ি-বাড়ি, অর্থ, বিদেশ ভ্রমণ সবকিছুই হচ্ছে বহাল তবিয়তে। শুধুমাত্র পরামর্শের ভিত্তিতেই তার এই বিপুল সম্পত্তি বলে খবর। কিন্তু কি সেই পরামর্শ? এবার তা জানার জন্য উদগ্রীব বাংলার যুবসমাজ।

প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর এদিন সেই একই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তিনি গরিব এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। কিন্তু তার এক ভাইপো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। আমি যা জানি, সেই ভাইপোর বাবা হার্ডওয়ারের ব্যবসা করেন। কিন্তু সেই ভাইপো কিছুই করেন না। অথচ তার এত অর্থ কোথা থেকে? এটা তো আমাদেরও জানতে হবে। শুনছি, শুধুমাত্র কনসালটেন্সির ভিত্তিতে তিনি নাকি এই পরিমাণ সম্পত্তি করেছেন! তাহলে কি সেই পরামর্শ! সেটা আমরা জানতে চাই। যা দিয়ে আমরা বেকার যুবক যুবতীদের সহযোগিতা করতে পারি।” একাংশ বলছেন, রসিকতার ছলে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়ে সেই ভাইপোকে চাপের মুখে ফেলে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। যদি হিম্মত থাকে, তাহলে এবার ভাইপোর এই ব্যাপারে উত্তর দেওয়ার কথা। আর যদি তিনি সত্যিই জবাব দেওয়ার মতো কিছু না পান, তাহলে নীরবতা পালন করবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

বিরোধীদের দাবি, যে নেত্রী নিজেকে সততার প্রতীক বলে দাবি করতেন, তার নামের পরে এখন আর সততার প্রতীক কেউ লেখে না। দুর্নীতিতে কার্যত ছেয়ে গিয়েছে শাসক দল। কয়লা, গরু, বালি, শিক্ষক নিয়োগ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাত দিলেই দুর্নীতির গন্ধ আসছে। বেকাররা পথে বসে রয়েছে, আর একদিকে কোনো এক যুবরাজের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। তিনি কোটিপতি হয়ে যাচ্ছেন। আর এই সম্পত্তির উৎস কি, জানতে গেলেই শাসকের রোষানলে পড়তে হচ্ছে প্রশ্নকর্তাদের। কারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলেই আসল সত্যিটা ধরা পড়ে যাবে। তাই ভাইপোকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না, এটাই হচ্ছে ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে ভাইপোর কথা বলা হচ্ছে, তিনি তো অনেক বড় বড় সততার কথা বলেন. তিনি তো বলেন যে, তার বিরুদ্ধে একটাও দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে তাকে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হোক। তিনি মৃত্যুবরণ করে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে তো এখন প্রশ্ন উঠছে। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে তো তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকছে। কিন্তু তারপরেও কেন তাকে রক্ষাকবচ নিয়ে সেখানে যেতে হচ্ছে? যাই হোক, সেটা তিনি করতেই পারেন। তবে এবার যখন তার সম্পত্তি এবং তার অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, তখন তিনি অন্তত তার সততা প্রমাণ করতে সেই প্রশ্নের উত্তরটুকু দিন। এটা অন্তত বাংলার সাধারণ মানুষ আশা করেন। যদি সেই অর্থের উৎস বৈধ হয় এবং তিনি তা যুক্তি সহকারে দেখাতে পারেন, তাহলে তো বেকার যুবক-যুবতীদের তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। বাংলার যারা শিক্ষিত বেকার হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না, যাদের চাকরি অন্য কাউকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, তারা তো অন্তত কিভাবে অর্থের উপার্জন করা যায়, সেই শিক্ষা নিতে পারবেন। তাই সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যে এবার জবাব দেওয়ার মতো হিম্মত হবে তো বাংলার সেই স্বনামধন্য যুবরাজের? প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!