এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ডেঙ্গু সামলাতে ব্যার্থ ফিরহাদ! পদত্যাগ না করে দায় চাপানোর চেষ্টা? চরম লজ্জা!

ডেঙ্গু সামলাতে ব্যার্থ ফিরহাদ! পদত্যাগ না করে দায় চাপানোর চেষ্টা? চরম লজ্জা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কলকাতায় একের পর এক মানুষের মৃত্যু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে পৌরসভার ভূমিকা নিয়ে। তবে সেই সময় পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে মহানাগরিকের মুখে শোনা গেল বিগত বাম সরকারের অপদার্থতার কথা। চেষ্টা করলেন, অতীতের সরকারের ঘাড়েই সমস্ত দোষ চাপানোর। যা দেখে লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। যেখানে মানুষ বিপদে, তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে, সেখানে মহা নাগরিকের গলায় একি ধরনের উক্তি, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

প্রসঙ্গত, এদিন কলেজ স্ট্রিটের বর্ণপরিচয় মার্কেটে গিয়ে জমা জলে মশার লার্ভা দেখতে পান মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। যেখানে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এক অদ্ভুত যুক্তি দেন মেয়র সাহেব। তিনি বলেন, “এটা বিগত সরকারের পাপের ফল আমাদেরকে ভোগ করতে হচ্ছে।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, এটা কি দোষারোপ করার মত সময়? কেন এই ধরনের কথা বলে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মেয়র সাহেব? পরিস্থিতি সামাল না দিয়ে এই দোষারোপ করে আর কত রাজনৈতিক ফায়দা তিনি লুটবেন?

বিরোধীদের দাবি, কথায় আছে, এই জন্মে যদি কেউ খারাপ সময় কাটায়, তাহলে অনেকে বলে, আগের জন্মের ফল তুমি এই জন্মে পাচ্ছো। কিন্তু আগের জন্মে কি হয়েছিল এবং পরের জন্মে কি হবে, তা কেউ জানে না। সেই রকমই অবস্থা হয়েছে এই সরকারের। সব সময় মিথ্যে কথা বলে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য অন্যদের দোষ দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে পরিস্থিতির সমাধান করতে পারছে না তৃণমূল। তাই নির্লজ্জের মত দোষারোপের খেলা খেলছে। তবে এসব না করে পদত্যাগ করুক। তাহলেই শক্ত কেউ দায়িত্ব নিলে এই পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে ডেঙ্গি নিয়ে মানুষের আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তার সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই বলেই অভিযোগ। হয়তো তারা চেষ্টা করছেন। তবে সেখানেও ব্যর্থ হচ্ছেন। তাই শেষ পর্যন্ত রাগে, ক্ষোভে বিগত সরকারের দিকেই দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেন ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু এসব না করে যদি তিনি পরিস্থিতি সামলাতে না পারেন, তাহলে তার পদত্যাগ করা উচিত। কারণ যারা ক্ষমতায় থাকে, তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি থাকে। সেই সময় দোষারোপের খেলা না খেলে মানুষের নিরাপত্তায় সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত শাসকের। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা থাকতে মহানাগরিকের গলায় এই ধরনের মন্তব্য রীতিমতো হতাশ করছে জনসাধারণকে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!