এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফার্স্ট বয় রাজ্যপাল , উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যকে ফের ধাক্কা রাজভবনের !

ফার্স্ট বয় রাজ্যপাল , উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যকে ফের ধাক্কা রাজভবনের !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত চরমে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত সেখানে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। ইতিমধ্যেই আদালতের পক্ষ থেকে এই উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করতে রাজ্যপাল, রাজ্য সরকার এবং ইউজিসিকে তিন থেকে পাঁচটি করে নাম জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এক্ষেত্রেও তিনি যে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যপাল। সার্চ কমিটির ক্ষেত্রে নাম প্রস্তাব করার জন্য তার তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে খবর। সুপ্রিম কোর্ট যদি সেই তালিকা চায়, তাহলে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফার্স্ট বয় হিসেবেই দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধানকে।

প্রসঙ্গত, এদিন সার্চ কমিটি নিয়ে তালিকার বিষয়ে রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান বলেন, “তিনি সেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন।” তবে কাদের নিয়ে সেই তালিকা তৈরি হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি সি ভি আনন্দ বোস। অনেকে বলছেন, এখনও পর্যন্ত হয়তো রাজ্য সরকার এই সার্চ কমিটির ব্যাপারে তাদের তালিকা তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু রাজ্যপাল অনেকটাই এগিয়ে। একাংশ আবার এটাও যুক্তি দিচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্ট এরপর কি নির্দেশ দেবে, তা তাদের ব্যাপার। তবে আইনকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যকে আবার পেছনে ফেলে দিলেন রাজ্যপাল।

বলা বাহুল্য, এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের যে সংঘাত সামনে এসেছে, তা কার্যত নজিরবিহীন। রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করলেও, তা সহ্য হয়নি রাজ্য সরকারের। তারা দাবি করেছে যে, রাজ্যপাল নাকি অবৈধ কাজ করেছেন। এমনকি প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে যা ইচ্ছে, তাই বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। শেষ পর্যন্ত সেখানে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। যাকে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট ইউজিসি, রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের কাছে এই সার্চ কমিটির ক্ষেত্রে তালিকা চেয়েছে। তবে সেখানে রাজ্য সরকার এবং ইউজিসি তাদের তালিকা তৈরি করেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অনেকে আবার বলছেন, রাজ্য সরকার এই তালিকা তৈরি করতে গিয়েও হোঁচট খাবে। কাকে রাখবে, আর কার নাম বাদ দেবে, তা নিয়েও তাদের মধ্যে হয়তো দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। কারণ রাজ্য সরকার সবসময় চায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা তাদের হাতে থাকুক। তাই একটা নির্লজ্জ কায়দা তারা এক্ষেত্রেও প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। তবে সেই সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখে রাজ্যপাল অবশ্য বুঝিয়ে দিলেন, তিনি এক্ষেত্রে ফার্স্ট বয়ের মতোই সেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন। তবে সেই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে এবং সেই নামের ক্ষেত্রে কি সিদ্ধান্ত নেয় দেশের শীর্ষ আদালত, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!