এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মন্ত্রীসভার বেতনবৃদ্ধি নিয়ে তোপ দেগে রাজ্যের বঞ্চিত সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ালেন এই বিধায়ক, জোর শোরগোল রাজ্যে

মন্ত্রীসভার বেতনবৃদ্ধি নিয়ে তোপ দেগে রাজ্যের বঞ্চিত সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ালেন এই বিধায়ক, জোর শোরগোল রাজ্যে

বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ করলেন বাম দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। গত সপ্তাহে বিধানসভায় মুখ‍্যমন্ত্রী ঘোষনা করেন যে মন্ত্রীদের দৈনিক ভাতা বাড়িয়ে করা হল ৩০০০ আর বিধায়কদের ২০০০।এইভাবে দৈনিক ভাতা বাড়ায় মুখ‍্যমন্ত্রী সহ অন‍্যান‍্য মন্ত্রী ও বিধায়কদের এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেল। যা চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে রাজ‍্যের সাধারণ মানুষের মধ‍্যে।

নতুন বেতনহারে বিধায়কদের মাসিক বেতন হল প্রায় ৮৬০০০ টাকা। মুখ‍্যমন্ত্রীর বেতন হল ১১৭০০০। মন্ত্রীদের বেতন পৌঁছে গেল প্রায় ১১২০০০ টাকায়। এইপ্রসঙ্গে সুজন বাবু কটাক্ষ করেন মুখ‍্যমন্ত্রী তেলা মাথায় তেল দিতে ব‍্যস্ত।

সুজনবাবুর বক্তব্য, বামফ্রন্ট মনে করে রাজ‍্যের বিভিন্ন স্তরের মানুষরা যেখানে কষ্টে আছেন সেখানে বিধানসভা ও মন্ত্রীসভার সদস‍্যদের এই বেতন বৃদ্ধির কোনও প্রয়োজন ছিলনা।

এইদিন সাংবাদিকদের সামনে তিনি এই মত প্রকাশ করেন যে রাজ‍্যের চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী কর্মীরা খুবই কম বেতন পাচ্ছেন। একই অবস্থা এম.এস.কে ও এস.এস.কের কর্মীদের। প্রাক্তন বিধায়করা যা পেনসন বা চিকিৎসা ভাতা পান তা দিয়ে তাঁদের খুবই অসুবিধার মধ‍্যে বাঁচতে হচ্ছে। এই সমস্ত মানুষের কথা না ভেবে  মুখ‍্যমন্ত্রী তাঁর দলের বিলাসবহুল জীবনে অভ‍্যস্ত নেতা-মন্ত্রীদের আরো অর্থের সংস্থান করতে ব‍্যস্ত হয়ে পরেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা,কাউন্সিলর, মন্ত্রীদের সবার অনেক গাড়ি, বাড়ি রয়েছে। রাজ‍্যের সাধারণ মানুষ বা প্রাক্তন বিধায়কদের তো তা নেই। তাই সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে বিধায়ক-মন্ত্রীদের এই বেতন বৃদ্ধির তাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান যে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বেতনের মধ‍্যে কোনও বৈষম‍্য থাকা উচিত নয়। পাশাপাশি এটাও বলেন সেক্ষেত্রে মন্ত্রী থেকে বিধায়ক সবার বেতন কমানো হলেও বামফ্রন্টের কোনও আপত্তি থাকবেনা।

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ‍্যের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে এই বাম নেতা জানান যে তাঁরা সরকারে থাকার সময় এই উদ‍্যোগ নিয়েছিলেন। প্রথমে সমস্ত ভাষায় রাজ‍্যের নাম ‘পশ্চিমবঙ্গ’ ও পরে ‘বাংলা’ রাখার উদ‍্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্ত্ত আজকের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা ব‍্যানার্জী তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় থাকলেও রাজ‍্যের নাম পরিবর্তন করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। অবশ‍্য তাঁর দাবি তিনভাষায় তিন নামের তাঁরা বিরোধিতা করেছেন কিন্তু ‘বাংলা’ বা ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নামের প্রতি তাঁদের সমর্থন রয়েছে। বিশেষত ‘পশ্চিমবঙ্গ’ নামের একটা ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। একটা বাংলা ভেঙে তার দুটো অংশ করা বা দেশভাগের স্মৃতি বিজড়িত নাম হল এই ‘পশ্চিমবঙ্গ’।

এদিকে রাজনৈতিক,হলের দাবি সুজানবাবু কৌশলে ফের বড়সড় মাস্টারস্ট্রোক দিলেন। কেননা রাজ্যে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বড়সড় ক্ষোভ রোয়েসে রাজ্যের সরকারি কর্মী, শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক কর্মী সহ নানা পদে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে ,এদিন সুকৌশলে তাদের ক্ষোভকে ফের জাগিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিরোধিতা করে বামেদের মানুষের কাছে তুলে ধরলেন। ফল যদিও দেখা যাবে ভোটের বাক্সে।তবে বামেদের ভোট কতটা বাড়বে তা বলা যায় না কিন্তু শাসকদলের ভোট এতে প্রভাব পর্ব এবলেই মত রাজনৈতিকমহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!