এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > জাস্টিস গাঙ্গুলীর “ভাইপো” বোমা, ছ্যাকায় গা পুড়ছে তৃণমূলের! শেষে কিনা কদর্য আক্রমণ!

জাস্টিস গাঙ্গুলীর “ভাইপো” বোমা, ছ্যাকায় গা পুড়ছে তৃণমূলের! শেষে কিনা কদর্য আক্রমণ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে রায়দান করে কার্যত তৃণমূলের গাত্রদাহের কারণ আগেই হয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এবার “ভাইপো” শব্দ প্রয়োগ করে তার চারতলা বাড়ি এবং কোটি কোটি অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। আর তাতেই রীতিমতো গায়ে ছ্যাকা লাগতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। কেন তাদের যুবরাজ এবং ভাইপোকে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের কথা বলা হবে, তা নিয়ে রীতিমত প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূলের ছোট, বড়, সমস্ত স্তরের নেতারা। বিদেশ থেকে বসে তৃণমূলের এক মুখপাত্র বিচার ব্যবস্থাকে এমন পর্যায়ে আক্রমণ করলেন, যা দেখে রীতিমত হতবাক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে তৃণমূলের কাছ থেকে এই আক্রমণ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তারা কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তবে এবার তা একেবারে শেষ সীমায় পৌঁছে গেল। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, করোনায় মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া নিয়ে এদিন একটি মামলায় মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “কে এক ভাইপো আছে! শুনেছি, তার চারতলা বাড়ি। কোটি কোটি টাকা। এত টাকা আসে কোথা থেকে?” আর বিচারপতি কারও নাম না করলেও, শুধুমাত্র ভাইপো বলার পরেই রীতিমতো চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা ভাইপো বলতে একজনকেই বোঝে। তাই বিচারপতির এই মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের এক মুখপাত্র যিনি বিদেশ সফরে রয়েছেন, তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।

বিচারপতির এই ধরনের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে কুনাল ঘোষ বললেন, “যদি হিম্মত থাকে, তাহলে বিচারপতির চেয়ার ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে আসুন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।” এদিকে যিনি বেকার যুবক, যুবতীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, যে বিচারপতির এক কলমে অনেক দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়েছে, তাকে এই ধরনের আক্রমণ দেখে অনেকেই তা মেনে নিতে পারছেন না। অনেকে বলছেন, যদি এতই ক্ষমতা থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের, তাহলে তারা আইনি লড়াইয়ে আসুক। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাহলেই তো সত্য এবং মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে।

বিরোধীদের দাবি, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোনো ব্যক্তির নাম করেননি‌। তিনি ভাইপো শব্দ উচ্চারণ করেছেন। আর তাতেই তৃণমূলের এত রাগের কারণ কি? তাহলে কি ভাইপো নামে তাদের দলে এমন কেউ রয়েছেন, যার এই ধরনের সম্পত্তি রয়েছে! আর সেই সম্পত্তির পর্দাফাঁস হয়ে গেলে তৃণমূলের গোপন সত্যি ফাঁস হয়ে যাবে? সেই কারণেই কি বিচারপতিকেও কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের মুখপাত্র! যে ভাষায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম করে কুনাল ঘোষ আক্রমণ করলেন, তা সব সীমাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই এবার কুনালবাবুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক বলে দাবি করছে বিরোধী শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শাসকের ক্ষমতায় থেকে বিচার ব্যবস্থায় এই ধরনের আঘাত সত্যিই কাম্য নয়। বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে তাদের মনে প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে একেবারে সেই বিচারপতির নাম করে কুনাল ঘোষের মন্তব্য রীতিমত বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। বর্তমানে বাংলার সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সুবিচার না পেয়ে বিচার ব্যবস্থার দরজায় পৌঁছে যাচ্ছেন। আর সেখানে গিয়ে যখন সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বেকার যুবক যুবতীরা বিচার পাচ্ছেন, তখন তাতেও গাত্রদাহ শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই বিচারপতি “ভাইপো” শব্দ প্রয়োগ করতেই তাদের গায়ের ছ্যাকা লাগতে শুরু করেছে। তবে এবার তৃণমূলের মুখপাত্র বিচারপতিকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করলেন, তা সরাসরি আইন বিভাগের ওপর আঘাত। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!