এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিদেশ সফর ডাহা ফেল? ভয়ঙ্কর তথ্যে গোল খেল নবান্ন! মুখ লুকোচ্ছে রাজ্য!

মমতার বিদেশ সফর ডাহা ফেল? ভয়ঙ্কর তথ্যে গোল খেল নবান্ন! মুখ লুকোচ্ছে রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিনিয়োগের আশা দেখিয়ে 12 দিনের বিদেশ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বাংলায় বিনিয়োগ করার আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু সত্যিই বাংলায় বিনিয়োগ আনতে পারবেন তো মুখ্যমন্ত্রী! সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্ন আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতির একটি মন্তব্যে। কার্যত যুক্তি দিয়ে সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন নবান্নের দিকে। বিদেশ তো দূরের কথা, দেশের মধ্যেই প্রচুর নামি দামি শিল্পপতিরা রয়েছেন, তারা কি কখনও পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করেছেন? বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের এই প্রশ্নে কার্যত খাবি খাওয়ার জোগাড় রাজ্য সরকারের।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর এবং শিল্পে বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তো বিদেশ থেকে শিল্প আনার কথা বলছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বাইরে আমাদের দেশে অনেক বড় বড় শিল্পপতিরা রয়েছেন। তারা কি এতদিন কখনও পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করেছেন? আমাদের তো গোড়ায় গলদ।” একাংশ বলছেন, একদম এক্ষেত্রে সঠিক যুক্তি দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।সত্যিই তো তাই! যে তৃণমূল শিল্প আনার কথা বলে কর্মসংস্কৃতির গল্প শুনিয়েছিল, তাদের মুখ কার্যত শুকিয়ে গিয়েছে। কার্যত 12 বছর হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কত বিনিয়োগ হয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করার মতো ক্ষমতা হয়নি এই সরকারের। তারা আবার বিদেশে 12 দিনের বিদেশ সফরে গিয়ে বড় বড় কথা বলছেন। শিল্প আনার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রাজ্যের মানুষকে। স্বাভাবিকভাবেই সেই জায়গায় সুকান্ত মজুমদার যে প্রশ্নটি তুলেছেন, তাতে রাজ্য সরকার যে মুখ লুকোতে ব্যাস্ত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিরোধীদের দাবি, এই রাজ্য সরকারের লাজ-লজ্জা সব শেষ হয়ে এসেছে। বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার তো প্রতিমুহূর্তে হরণ হচ্ছে রাজ্যে। তার মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে শিল্পের সম্ভাবনা দেখিয়ে বারবার বাংলার মানুষকে আঘাত দিচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি বেকারের নাকি চাকরি হয়ে যাচ্ছে! রাজ্যে নাকি চাকরির বন্যা বইছে। অথচ রাজপথে সেই বেকারদের কান্নার আওয়াজ সরকারের কানে পৌঁছাচ্ছে না।

নিয়োগ দুর্নীতির জালে ফেঁসে রয়েছে এই রাজ্য। সেখানে দাঁড়িয়ে বেকারদের মুখে সামান্য অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য যে শিল্পের দরকার রাজ্যের, সেই শিল্পের কারখানা থেকে এখন ধোঁয়া উঠতে দেখা যাচ্ছে না। আর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করছেন, তিনি নাকি বিদেশ থেকে শিল্প আনবেন। খুব ভালো কথা, তিনি শিল্প আনলে এই রাজ্যের মঙ্গল, দেশের মঙ্গল, দশের মঙ্গল। কিন্তু সেই মঙ্গলের কথা কি তিনি চিন্তা করছেন? নাকি চিন্তা করছেন নিজের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কথা? আর তা করতে গিয়েই তিনি রাজ্যের মানুষকে বিপাকে ফেলছেন না তো? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিদেশের শিল্প কিভাবে আনবেন, ঘাড়ে করে আনবেন, নাকি বাসে করে আনবেন, সেটা রাজ্য সরকারের কর্তা ব্যক্তিরাই জানেন। তা দেখার জন্য রাজ্যের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। পাহাড় প্রমাণ কত শিল্প এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসেন! তাকে ধান-দূর্বা দিয়ে বরণ করার জন্য রাজ্যের বেকার যুবকরা রাজপথে অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন। কিন্তু তার আগে মুখ্যমন্ত্রীকেই বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বিদেশ থেকে শিল্প আনবেন, অত্যন্ত ভালো কথা। কিন্তু দেশেও তো অনেক শিল্পপতিরা রয়েছেন। তারা এতদিন এই এগিয়ে বাংলার পশ্চিমবঙ্গে কত শিল্প বিনিয়োগ করেছেন? সেই শ্বেতপত্রটা অন্তত প্রকাশ করুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে বলছেন, এই বিষয়ে এক পা এগোনোর মত ক্ষমতা নেই রাজ্য সরকারের। তাই তাদের কাছে সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য রীতিমত চ্যালেঞ্জের। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!