এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার জন্যেই ভয়ঙ্কর দশা? বাকি জীবন কী জেলেই কাটবে কেষ্টর! আশঙ্কার মেঘ!

মমতার জন্যেই ভয়ঙ্কর দশা? বাকি জীবন কী জেলেই কাটবে কেষ্টর! আশঙ্কার মেঘ!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গরু পাচারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে তিহার জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলার একসময়কার সর্বেসর্বা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এখন তার শোচনীয় পরিণতি। একসময় যিনি সবাইকে দাবিয়ে রাখতেন, এখন তিনিই কার্যত দমে রয়েছেন। বারবার জামিনের আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই আবেদনের শুনানির দিন পিছিয়ে গিয়েছে। যার ফলে পুজো আপাতত জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে এর মাঝেই আরও বড় অস্বস্তিকর সংবাদ এলো সেই তৃণমূল নেতার কাছে। তার হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করা মনীশ কোঠারির জামিন আদালতের তরফে মঞ্জুর করা হয়েছে। ফলে অনুব্রত মণ্ডল যখন জেলের ভেতরে কষ্টে রয়েছেন, তখন তার হিসাব রক্ষকের এই জামিন একদিক থেকে অত্যন্ত চাপের কারণ বলেই মনে করছেন একাংশ।

প্রসঙ্গত, এদিনই আদালতের তরফে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মনীশ কোঠারির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে অনুব্রত মন্ডলের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও তিনি যে আরও ভেঙে পড়েছেন, তা বলাই যায়। কারণ তার হিসাব রক্ষক জামিন পেয়ে গেল। কিন্তু তিনি বারবার জামিনের আবেদন করে জেলের মধ্যেই রয়েছেন। কবে তার জামিন হবে, তা কারোরই জানা নেই। এখন তার একটাই চিন্তা, তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে জেল থেকে মুক্তি পান। তার জন্য তিনি সব চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার সেই ভাগ্যে আলো ফুটবে কিনা, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অনেকে বলছেন যে, এই অনুব্রত মণ্ডল হয়তো ভেতরে ভেতরে নিজের দল এবং নেত্রীর জন্য প্রচন্ড অসন্তুষ্ট। কারণ এই দল করতে গিয়েই তাকে বিভিন্ন ঘটনায় ফাঁসতে হলো এবং শেষ পর্যন্ত জেলে যেতে হলো। তাই পুজো কাটাতে না পেরে তিহার জেলে থেকে রীতিমত নিজের কপাল নিজেই চাপড়াচ্ছেন কেষ্টবাবু বলেই মনে করছেন একাংশ।

বিরোধীদের দাবি, এই অনুব্রত মণ্ডলের জন্য বাঘে গরুতে একসময় জল খেত। বীরভূম জেলায় তার কথার বাইরে যাওয়ার মতো ক্ষমতা হয়নি কারোরই। তিনি জোর করে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সময় শেষ কথা বলে। একসময় যিনি দাপট রেখে অন্যকে হুমকি দিতেন, এখন তার শোচনীয় দশা। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে তাকে এখন জেলের মধ্যে থাকতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। কবে তিনি ছাড়া পাবেন, কেউ জানে না। শেষমেষ তার হিসাব রক্ষককে ছেড়ে দেওয়া হলো। ফলে অনুব্রত মণ্ডলই বুঝছেন যে, ঠ্যালা কেমন লাগে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি তৃণমূল কংগ্রেসের এত বড় নেতা না হতেন অনুব্রত মণ্ডল, তাহলে হয়তো এত বড় ঘটনায় তার নাম জড়াতো না। তাকে গ্রেফতারও হতে হতো না। তিনি হয়তো প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে কোনো একটি বাক্য প্রয়োগ করেনি। তবে জেলের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে থাকতে থাকতে তার মনেও অনুশোচনা কাজ করতে শুরু করেছে। কি দরকার ছিল এসব করার? এসব না করলে হয়তো তিনি দিব্যি সুখের সংসার করতে পারতেন। শেষপর্যন্ত মেয়েও জেলে। জামিনের আবেদন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। শেষমেষ হিসাবরক্ষক জামিন পেয়ে যাওয়ায় অনেকের মধ্যেই নতুন আশঙ্কা দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তারা এবার ভাবছেন যে, আদৌ এই শ্রীঘর থেকে মুক্তির খবর পাবেন তো অনুব্রত মন্ডল? বাইরের মুক্ত হাওয়ায় কবে থেকে আবার সাবলীলভাবে ঘোরাফেরা করতে পারবেন তিনি? প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!