এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হার থেকে শিক্ষা! স্ট্র্যাটেজি, প্রচার, সংগঠন – বঙ্গ-বিজেপির সব কিছু বদলে যাচ্ছে এক ঝটকায়?

হার থেকে শিক্ষা! স্ট্র্যাটেজি, প্রচার, সংগঠন – বঙ্গ-বিজেপির সব কিছু বদলে যাচ্ছে এক ঝটকায়?


সম্প্রতি হয়ে যাওয়া রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে রীতিমতো পর্যুদস্ত হয় বিজেপি। নির্বাচনের আগে বিজেপি যেভাবে আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল এই তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জয়ের ব্যাপারে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা যায় রাজ্য বিজেপির আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি তলিয়ে গিয়েছে। রাজ্য বিজেপির হাল নিয়ে কাঁটাছেঁড়া শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। তবে এরই মধ্যে বিজেপি শিবিরকে চাঙ্গা করতেই রাজনৈতিক ময়দানে নেমেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যজুড়ে পুরভোট। এবার রাজ্য নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী দিলেন জেলার নেতা-নেত্রীদের।

উপনির্বাচনের 3 কেন্দ্রের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জেলাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সামনে পু্রভোট এবং বিধানসভা ভোটের দিকে নজর দিয়ে প্রত্যেকটি জেলায়, এলাকায় এলাকায় গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করাতে হবে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে এদেশে অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই বিষয়টি যাতে পরিষ্কার হয়ে যায়, সে দায়িত্ব নিতে হবে জেলার বিজেপি নেতা নেত্রীদের। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার লোকসভার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পেশ হতে চলেছে। মঙ্গলবার থেকেই এই বিল সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হবে বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে। এবার তা সংসদে পেশ হয়ে আলোচনা শুরু হবে। ইতিমধ্যে এই বিল নিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে শুরু হয়েছে তীব্র আন্দোলন। গত 31 আগস্ট অসমে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। আর সেই তালিকা থেকে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছিল। যার মধ্যে দাবি করা হয়েছে, 11 লক্ষ হিন্দু। আর এর পর থেকেই এনআরসি নিয়ে তুমুল ঝড় বয়ে গিয়েছে গোটা দেশে। সেখান থেকেই বিজেপির সিদ্ধান্ত, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আসতে হবে। এবার সেই বিলের প্রচারকার্যে বৈঠক করেন রাজ্য নেতৃত্ব জেলার নেতাদের সাথে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রাজ্য জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে যে জরুরি বৈঠক হয়, সেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শিব প্রকাশ। শুধুমাত্র নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে নয়, অন্যান্য সাংগঠনিক বিষয় নিয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়। দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নির্দেশ আসে, উপনির্বাচনের হারের জন্য দায়ী সমগ্র ফাঁকফোকর বন্ধ করে আগামী দিনের পুরভোট ও বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে আটঘাট বেঁধে বিজেপিকে রাজ্য জুড়ে প্রচারে নামতে হবে।

এদিন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিনিয়র বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে দরজায় দরজায় প্রচার করতে বলা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিযয়ে। কিন্তু ভোটে হারের বিষয়টি পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, দলের কর্মীদেরই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। তাই তাঁরা এই বিল সংক্রান্ত কোন রকম তথ্য বা বার্তা দিতে অপারগ জনসাধারণের কাছে। উপনির্বাচনের সময় দেখা গেছে, ভোটের প্রচারে তৃণমূল বারংবার এনআরসি প্রয়োগের ফলে যে 19 লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে আসামে, তাদের কথাই তুলে ধরেছে। ফলে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেছে তাঁরা।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, খড়গপু্‌র, কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরের বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফল রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল। যেকোনো অবস্থায় রাজ্য বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করানোর। উপনির্বাচনে বিজেপি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ঠিকই, তবে সামনের নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে আবার নতুন করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তাঁরা। আপাতত রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখেই প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। অতএব স্মগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখবে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!