এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের পদের জন্য লাখ টাকার খেলা ! দলীয় বিধায়কের বানে জেরবার মমতা-অভিষেক !

তৃনমূলের পদের জন্য লাখ টাকার খেলা ! দলীয় বিধায়কের বানে জেরবার মমতা-অভিষেক !


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। অনেকে জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। কিন্তু এবার দলের ভেতরেই পদ দেওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ বিরোধীদের তরফে কেউ করেনি। এই অভিযোগ সামনে এনেছেন তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলী। শুধু তাই নয়, দলের দিকে যে ঠিক মতো নজর দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বিষয়টিও নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন শাসক দলের এই নেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং সহ সভাপতির তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক। ইদ্রিস আলী বলেন, “স্থানীয় ব্লক সভাপতি দলের দেওয়া নাম কেটে দিয়ে অন্য কাউকে সভাপতি এবং সহ সভাপতি করেছে। এখানে টাকার খেলা হয়েছে। 30-40 লাখ টাকার বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত শক্তিশালী নেত্রী। তিনি বিদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু আমার মনে হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর একটু বেশি নজর দিলে এসব ঠিক হয়ে যাবে।”

আর একেবারে শাসকদলের বিধায়কের মুখ থেকে এই ধরনের বাক্য প্রয়োগ রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকের প্রশ্ন, তাহলে এতদিন বিরোধীরা দুর্নীতি নিয়ে যে অভিযোগ করত, সেই দুর্নীতি কি এখন তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে? স্থানীয় নেতাদের পদ দিতেও কি শুরু হয়ে গিয়েছে টাকার খেলা? তবে ইদ্রিস আলীর এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কার কাছে গিয়েছে! কারা এই অর্থের বিনিময়ে সেই পদ দিয়েছে? সেই প্রশ্ন ক্রমাগত ঘাম ছোটাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের একাংশের।

বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল কোনো দল নয়, এটা একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। এতদিনের বলা সেই কথা ধীরে ধীরে প্রমাণিত হতে শুরু করেছে। অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়ার যে অভিযোগ খোদ বিধায়ক করলেন, তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট যে, তৃণমূল সব সীমা কার্যত ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাদের সব জায়গাতেই অর্থের উপার্জন চাই। সেই কারণে নেতাদের পদ বন্টন করতে গিয়েও লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা চলছে। যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে বিধায়কের এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল পদক্ষেপ গ্রহণ করুক বলেই চ্যালেঞ্জ বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুধু তৃণমূলের নেত্রী নন, তিনি এই রাজ্যেরও মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কে কোথায় কি করছে, তার সব খবর তার কাছে থাকে। কিন্তু তিনি বিধায়ক বলার আগেই এই ধরনের মারাত্মক খবর কেন পেলেন না? কেন তার আগেই পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল না তৃণমূল সুপ্রিমোকে? যে যুবরাজ বারবার সততার কথা বলেন, দলকে স্বচ্ছ ভাবে পরিচালনা করার কথা বলেন, তার দল নিয়েই একেবারে বিধায়ক প্রশ্ন তুলে দিলেন।

এবার কি তারা বিধায়কের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? কারণ তাদের তো অর্থ চাই। উপার্জনের রাস্তা চাই। তাহলে কি পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকার খেলা হয়েছে বলে বিধায়ক যে অভিযোগ করলেন, তাতে ইদ্রিস আলীর ডানা ছাটা যাবে? অনেকে বলছেন, এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে যদি তা হয়, তাহলে তৃণমূল বিধায়ক যে বিড়ালের গলায় ঘন্টাটা বাঁধতে পেরেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই দাবি সমালোচক মহলের। কিন্তু কি করবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা তারাই জানে। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব যে যথেষ্ট চিন্তিত, তাতে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!