এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > এবার মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে মুখ খুলল শিবসেনা

এবার মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে মুখ খুলল শিবসেনা


আজ প্রকাশিত হয়েছে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হলেও এবার এই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। গতবারের 122 টি বিধানসভা আসনের জায়গায় এবার এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, তাদের প্রাপ্ত বিধায়কের সংখ্যা একশো স্পর্শ করতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই সহযোগী পার্টি শিবসেনার উপরে যথেষ্ট ভরসা রাখতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আর কিছুটা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই মুখ খুললেন শিবসেনা অধ্যক্ষ উদ্ধব ঠাকরে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে আলাদা আলাদাভাবে লড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি এবং শিবসেনা। সেবারে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা জায়গায় ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। পরবর্তীতে সরকারে শামিল হলেও বিজেপির ইচ্ছেমতো দাবিদাওয়া নিয়ে খুশি হতে হয় শিবসেনাকে।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি আলাদা। নির্বাচনের আগে থেকেই হয়ত দলের প্রবীণ নেতৃত্ব এবং বুঝতে পেরেছিলেন, ভদ্রভাবে লড়াই না করলে এবছর মহারাষ্ট্রে গদি ধরে রাখা মুশকিল হতে পারে গেরুয়া শিবিরের। সেইমতো আগেই একপ্রস্থ আলোচনার পরে বিজেপি- শিবসেনা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেয় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে। আর অনেক সমীক্ষার আশঙ্কাকে সত্য করেই ধরা পড়ে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে এনডিএ ক্ষমতা দখল করলেও একক ভাবে ভারতীয় জনতা পার্টি ম্যাজিক ফিগারের কাছে পৌঁছতে পারছে না।

তাই বলাই বাহুল্য, ক্ষমতায় টিকে থাকতে গেলে কিংমেকার হিসাবে মেনে নিতে হবে শিবসেনাকে। আর এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরেই বিজেপির সঙ্গে নিজেদের রাজনৈতিক চুক্তি প্রকাশ্যে আনলেন শিবসেনা। উদ্ধব ঠাকরে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই মুম্বাইয়ে নিজেদের দলীয় কার্যালয় থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে স্পষ্টভাষায় শিবসেনা অধ্যক্ষ জানান, ভোটের আগে ফিফটি-ফিফটি অনুপাতে সরকার ভাগাভাগি নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল।

এর অর্থ হিসাবে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, “প্রতি দল আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পাবেন। আর সেই হিসাবেই আলোচনা হওয়ার পরে স্থির হবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তবে এদিনের বৈঠক থেকে শিবসেনা অধ্যক্ষ এটাও স্পষ্ট করেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে জোট ভাঙার তাদের কোনো রকমের ইচ্ছা নেই। অর্থাৎ আগামী দিনে যদি সমঝোতা ঠিক থাকে, তাহলে জোটবদ্ধভাবে রাজ্যের সরকার চালাবে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং শিবসেনা গঠবন্ধন।

তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এবারের মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচনে ভোটে লড়াই করেছেন বালাসাহেব ঠাকরের নাতি তথা উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে। নিজে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে পরিচয় না দিলেও মহারাষ্ট্রে রাজনীতিতে স্পষ্ট ছিল, যদি শিবসেনার তরফ থেকে ভালো পারফরম্যান্স হয়, তবে শিবসেনার তরফ থেকে আদিত্যবাবু মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হতে পারে। সেই মোতাবেক শুধু রাজ্যে ভালো ফলাফলই নয়, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ওরেলি থেকে ব্যাপক মার্জিনে জয় যুক্ত হয়েছেন বালাসাহেবের নাতি।

এই বিষয়ে উদ্ধব ঠাকরে জানান, “ওর বাবা হিসেবে আমি গর্বিত। মানুষ যে এত ভালোবাসা দিয়েছেন সেজন্য আমি খুশি।” তাদের প্রিয় বালা সাহেবের নাতিকে মুখ্যমন্ত্রী গদিতে বসাতে উৎসুক শিবসেনা কর্মীরা। অপরদিকে বিপুল ভোটে জেতানোর জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের নাতি আদিত্য ঠাকরে।

সবকিছু মিলিয়ে ফিফটি ফিফটি যে তথ্য উল্লেখ করেছেন আজকের দলীয় সদরদপ্তরে, তা শেষ পর্যন্ত কি রাজনৈতিক আকৃতি নেয় এবং কি শর্তে বিজেপি-শিবসেনা গঠবন্ধন আগামীদিনে মহারাষ্ট্রকে পরিচালনা করে, সেদিকেই প্রখর দৃষ্টি থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!