এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাত মেটাতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন

রাজ্যপাল ও রাজ্যের সংঘাত মেটাতে এগিয়ে এলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী, জেনে নিন


যখন কেউ কারও প্রবল বিরোধী হয়, তখন তাকে সৌজন্যতার মধ্যে দিয়ে আপন করে নিতে হয়। কৌশলী রাজনীতিবিদরা এমনটাই মনে করেন। অতীতে বহুবার বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে সৌজন্য দেখিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপালের সাথে রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকারের যখন দিনকে দিন দূরত্ব বাড়ছে, ঠিক তখনই সেই রাজভবনের প্রধান ব্যক্তি জগদীপ ধনকারের সাথে সমস্ত দূরত্ব মিটিয়ে সৌজন্যের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর পর রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল হিসেবে জগদীপ ধনকার রাজ্যে পা রাখার পর থেকেই সরকারের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্তার ঘটনা থেকে শুরু করে জিয়াগঞ্জ কান্ড, দূর্গাপূজা কার্নিভাল থেকে শুরু করে সম্প্রতি রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন জগদীপ ধনকার।

পাল্টা সরকারের তরফে কখনও সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আবার কখনও বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়- নজিরবিহীনভাবে সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। আর এই ঘটনায় একজন সাংবিধানিক প্রধানকে রাজ্যের মন্ত্রীরা যেভাবে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন, তাতে রাজ্য সরকারের সাথে রাজভবনের দূরত্ব ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে এবং এতে রাজ্যের কাজে প্রভাব পড়বে বলে মনে করতে শুরু করেছিল রাজনৈতিক মহল।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সেই দাবিতে মান্যতা দিয়ে এবার রাজ্যপালের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের অবনতি কাটিয়ে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সূত্রের খবর, সামনে কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কালীপুজো অনুষ্ঠিত হবে। আর এবার সেই পুজোয় নিজের বাড়িতে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি প্রতিবার দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে ভাইফোঁটা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তেমনই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারকেও এবার ভাইফোঁটা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে, যখন প্রতিনিয়ত রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা বেড়েই চলেছে, ঠিক তখনই নজিরবিহীনভাবে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে সেই রাজ্যপালকে তার বাড়িতে কালীপুজো এবং পরবর্তীতে ভাইফোঁটা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন, তাতে তিনি রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সম্পর্কের তিক্ততা মেটানোর জন্যই একপ্রকার বার্তা দিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!