এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায়, তারাই এখন দলে এসে ঘোরাচ্ছে ছড়ি? চরম বিদ্রোহের মুখে তৃণমূল?

যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায়, তারাই এখন দলে এসে ঘোরাচ্ছে ছড়ি? চরম বিদ্রোহের মুখে তৃণমূল?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বর্তমানে সর্বজনবিদিত। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ক্রমাগত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর উঠে আসছে। যা তীব্র অস্বস্তির মুখে ফেলছে এ রাজ্যের শাসক দলকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এলো বর্ধমান শহরের তৃণমূল শিবিরের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাত ধরেই উঠে এসেছে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। বর্ধমান শহরের তৃণমূল গোষ্ঠীর নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই এবার কুকথা বলতে শুরু করেছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। পাশাপাশি দলবদলের কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তৃণমূলে এসে যারা প্রবেশ করেছেন, তাঁরাই এখন ক্ষমতার শীর্ষে উঠে আসছেন।

আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে বর্ধমান তৃণমূল শিবিরে ব্যাপক দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় থেকে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এবার বিদ্রোহ করতে শুরু করেছেন। যার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তিনি বলতে শুরু করেছেন বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি প্রকাশ্যে বর্ধমান পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের বিরুদ্ধে রীতিমতো দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বজনপোষণের মতন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে বর্ধমান পুরসভার সিপিএমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের বহিষ্কৃত জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য আইনুল হক তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাই নিয়েও খোকন দাস তীব্র বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন।

অন্যদিকে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হলে তাঁরাও খোকন দাসের বিরুদ্ধে পাল্টা বলতে শুরু করেছেন। খোকন দাস যেভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন, তাঁরাও সেই একইভাবে খোকন দাসকে শহরের সব থেকে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা বলে অভিহিত করেছেন। রবিবার বর্ধমানের 35 নম্বর ওয়ার্ডে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান করেন খোকন দাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রব সহ বেশ কয়েকজন নেতা। সেই সভা থেকেই খোকন দাস জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাসবিহারী হালদার, শহর তৃণমূল সভাপতি অরূপ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।

তৃণমূল শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, যারা খোকন দাসের অনুগামী নন সেইসব কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই সভাতেই তৃণমূলে যোগ দেওয়া সিপিএমের আইনুল হকের বিরুদ্ধেও মুখ খোলেন খোকন দাস। তাঁর মতে, আইনুল হক সিপিএমের খুনি নেতা। তৃণমূলে ওই খুনি নেতাকে কেউ মানবে না। এমনকি আইনুল হকের কোন নেতার পাশে বসার যোগ্যতাও নেই বলেই তিনি দাবী করেন। অন্যদিকে খোকন দাসের বিরোধী শিবিরের পরিচিত মুখ প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সী ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে খোকন দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি দশ বছর আগে যে খোকন দাসকে সামান্য বিক্রেতা হিসেবে দেখা যেত, সেই খোকন দাস 10 বছরের মধ্যে কিভাবে আকাশছোঁয়া ইমারত বানালো আআর কিভাবেই বা দামি গাড়ি পেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, সনৎ বক্সী এদিন সংবাদমাধ্যমে একসময়ের আইনুল বলে অভিযুক্ত করেছেন খোকন দাসকে। পাশাপাশি সনৎবাবু আরো জানিয়েছেন, রাসবিহারী হালদার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই জেলা সভাপতি হয়েছেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অরূপ দাসকে 2015 সাল থেকে সহ-সভাপতি করছেন। আর তাই খোকন দাসের এই সমস্যা। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, খোকন দাস নিজেই দুর্নীতির জাহাজ।

খোকন দাসের সম্পর্কে সমস্ত খবর পিকের টিম ইতিমধ্যেই দলীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছে বলে জানান সনৎ বক্সী। আর সে কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে খোকন দাস এধরনের মন্তব্য করছেন। অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ খোকন দাসের, সেই আইনুল হক এদিন জানান, তিনি দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা গ্রহণ করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দলে নিয়েছেন। তাই কে, কোথায় ব্যক্তিগত মতামত দিল তা নিয়ে তার বিশেষ কিছুই যায় আসে না।

অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র দেবু টুডু জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল শিবিরে একের পর এক জেলায় তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসছে, তা কিন্তু আগামী দিনে তৃণমূল শিবিরের পায়ের তলার মাটি সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের সংগঠনের দুর্বল দিক ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আর সে ক্ষেত্রে তৃণমূল শিবিরের চরম বিদ্রোহ বিরোধী শিবিরে যে আলাদা করে অক্সিজেন যোগাবে, সে কথা বলাইবাহুল্য।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!