এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের শীর্ষ আদালতের উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত, চাঞ্চল্য সব মহলেই

দেশের শীর্ষ আদালতের উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত, চাঞ্চল্য সব মহলেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত একটি চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্যত এবার থেকে কোন নির্দিষ্ট রাজ্যের বিধায়ক কিংবা সাংসদের ওপর যদি কোনো ফৌজদারী মামলা চলে, তাহলে তা হাইকোর্টের বিচারকের অনুমতি ছাড়া তুলে নেওয়া যাবেনা স্বাভাবিকভাবেই শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সমালোচনার শীর্ষে পৌঁছেছে। কার্যত জানা গিয়েছে, ফৌজদারি বিশেষ আদালতে সাংসদ কিংবা বিধায়কের বিরুদ্ধে যে শুনানি হয় সেখানকার বিচারকদের নির্দেশেই কাজ হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে আজকে বিচারপতি ভিনীত সরণ এবং বিচারপতি সূর্যকান্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন।

তাদের তরফ থেকে বলা হয়, যেসব সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে দ্রুত শুনানি করতে হবে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া সাংসদ এবং বিধায়কদের ওপরে করা ফৌজদারি মামলা যখন তখন তুলে নেওয়া যাবেনা। পাশাপাশি হাই কোর্টের বিচারকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে বকেয়া মামলাগুলি যে বিশেষ আদালতে শুনানি হচ্ছে কিংবা সিবিআই আদালতে, সেখানে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিচারপতিরা নিজেদের পদে কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে সেক্ষেত্রে বিচারকদের অবসর গ্রহণ কিংবা মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয় আলাদা ভাবে দেখা হবে।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সামনে এসেছে বেশকিছু রাজ্যের বিধায়ক এবং সাংসদের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারী মামলা তুলে নেওয়ার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যেমন- মুজফফরনগরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে যুক্ত থাকা কিংবা উত্তর প্রদেশ সরকার সেখানকার বিধায়ক সংগীত সোম, সুরেশ রানা, কপিল দেব এবং সাধ্বী প্রাচীর বিরুদ্ধে মামলা তোলার আবেদন করেছে। আবার, কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকেও 31 শে জুলাই আবেদন করা হয়েছে তাঁদের সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে 61 টি মামলা তুলে নিতে। একই অবস্থা মহারাষ্ট্রেও। সেখানকার শিবসেনা জোট সরকার 2019 এর 31 ডিসেম্বরের আগে থাকা মামলাগুলি তুলে নেওয়ার কথা বলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত সুপ্রিম কোর্টের সূত্রে জানা যাচ্ছে গত দু’বছরে বর্তমান কিংবা প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সংখ্যা অন্তত 17% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগেও সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে সিবিআই এবং ইডিকে সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলাগুলির স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ইডি তাঁদের রিপোর্ট জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত সিবিআইয়ের তরফ থেকে রিপোর্ট জমা দেওয়া বাকি রয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, এবার থেকে রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করতে কোন প্রার্থী সাংসদ নির্বাচিত হলে 48 ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট দলকে সেই প্রার্থী সম্পর্কে যাবতীয় খতিয়ান দিতে হবে শীর্ষ আদালতে।

আগে নিয়ম ছিল প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার 48 ঘন্টা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলিকে তাঁদের প্রার্থী সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে নিয়মের বেশকিছু বদল করা হয়েছে। তার কারণ শীর্ষ আদালতের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলি আদালতের নির্দেশ মানছেনা। তাই এবার সময়সীমা কমিয়ে 48 ঘণ্টা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের শীর্ষ আদালতের লক্ষ্য, দেশজুড়ে দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি গড়ে তোলা। তবে সেক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ কিভাবে কাজ করে, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!