এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > উত্তরাখন্ডের নির্বাচনের সূচনা হতেই বড়সড় পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের, শুরু রাজনৈতিক চর্চা

উত্তরাখন্ডের নির্বাচনের সূচনা হতেই বড়সড় পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের, শুরু রাজনৈতিক চর্চা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট আগামী 2-1 বছরের মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তারমধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড। কার্যত উত্তরাখণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত গেরুয়া শিবির। সাড়ে চার বছরের রাজত্বকালে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়ে গিয়েছে। তাতেও পরিস্থিতি বিশেষ কিছু উন্নত হয়নি। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিন্তা বাড়াচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপির পক্ষ থেকে আগামী দিনে ভোটে কারা লড়াই করবে তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় অনেক সহজ হয়েছিল। সেসময় রাজ্যের 70 টি আসনের মধ্যে 57 টি বিজেপির দখলে এসেছিল।

কিন্তু তারপর দেখা যাচ্ছে, গতবার ভোটে জিতে যারা এমএলএ হয়েছিলেন, তাঁরা অনেকেই কাজ করতে পারেননি। তাই এবার অন্তত 20 জনকে নতুন মুখ করে সামনে আনতে চলেছে বিজেপি। সংবাদসূত্রের খবর, যারা কাজ করতে পারেনি তাঁদের দলের তরফ থেকে আর টিকিট দেওয়া হবেনা। প্রসঙ্গত 2022 এ উত্তরাখণ্ডের পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যেভাবে কাজ করেছেন তাতে অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যের মানুষ বিজেপির প্রতি আকৃষ্ট হবে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সভাপতি দুষ্যন্ত কুমার গৌতম দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি সংবাদমাধ্যমে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তিনি জানিয়েছেন, শেষ পাঁচ বছরে উত্তরাখণ্ডে প্রচুর জনকল্যাণমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু বিজেপি সভাপতি দুষ্যন্ত কুমার গৌতমের এই দাবি সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস শীর্ষ নেতা কাজী নিজামউদ্দিন। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে দুষ্যন্ত কুমার গৌতমের সমস্ত বক্তব্য মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। কার্যত তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের সাড়ে চার বছরে একজন স্থায়ী মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত বিজেপি বসাতে পারেনি। উল্লেখ্য, 36 দিন আগেও উত্তরাখণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। এই অবস্থায় বিজেপি মানুষের উন্নয়ন কিভাবে করবে বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করছেন, 2017 য় যতটা সহজ জয় পেয়েছিল বিজেপি, 2022 এ কিন্তু সেরকম কিছু হবেনা। আসন সংখ্যা যেমন কমে যাচ্ছে, পাশাপাশি ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে এবার বিজেপি বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজ্যের মানুষের কাছে বেকার সমস্যা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার জন্য যুবসমাজ বিজেপির ওপর অনেকটাই ক্ষুব্ধ। তাই এবার 2022 এর আগে বিজেপি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। কার্যত উত্তরাখণ্ডে বিজেপি পরিকল্পনামাফিক জয় আনতে পারে কিনা সে দিকেই নজর রাখছেন পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!