এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > সবংয়ে দ্বিতীয় হয়েও রক্তক্ষরণের আতঙ্কে ভুগছে বামফ্রন্ট, বড় ধ্বস ভোটব্যাঙ্কে

সবংয়ে দ্বিতীয় হয়েও রক্তক্ষরণের আতঙ্কে ভুগছে বামফ্রন্ট, বড় ধ্বস ভোটব্যাঙ্কে

সবং উপনির্বাচনে বামেদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। শাসকদল প্রথম থেকেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বামেদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। গত কয়েকটি নির্বাচনের মতো বামেদের ভোট ব্যাঙ্কে ধস যে অব্যাহত তার প্রমান সবং উপনির্বাচনের ফলাফল। নির্বাচনের দিন একাধিক বুথ আগলে রাখলেও সিপিএম প্রার্থী রীতা মন্ডল জানার প্রাপ্ত ভোট ৪১ হাজার ৯৮৯ টি। ভোটের ফলাফলই বলছে, সবংয়ে বিরোধী ভোট ব্যাপক ভাগাভাগি হয়েছে। এক্ষেত্রে সিপিএম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেও তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপির থেকে ব্যবধান খুব একটা বেশি নয়। ভোটের নিরিখে বাম শিবিরের ভোট অনেকটাই কমেছে। এমনকি,৩০৬টি বুথের মধ্যে এমন ১০৬ টি বুথ আছে, যেখানে সিপিএমের ৫-৬ টা থেকে শুরু করে ১০০র নীচে ভোট পেয়েছে। যদিও সবং সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। খোদ সবংয়ের ভূমিপুত্র মানস ভূঁইয়াই নির্বাচনের দিন বলেছিলেন,এখানে সিপিএম কর্মীরা অনেক বেশি ‘কমিটেড’। এরপরেও সিপিএম এর ভোট কমছে। সেই প্রসঙ্গে জেলা সম্পাদকের দাবি, আমাদের একার ভোট কমেছে এমন নয়। মানসবাবুদেরও তো ভোট কমেছে! বিজেপির ভোট বেড়েছে। রক্তক্ষরণ হয়েছে বললে সরলীকরণ করা হবে। মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভোট দিতে পারলে যে ভোট হত, তা হয়নি। ৭০টি বুথে আমাদের কোনও এজেন্ট দিতে দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভোট হলে ১০০র নীচে ভোট পাবে বামপন্থীরা, এত খারাপ অবস্থা আমাদের এখনও হয়নি। এই বিষয়ে প্রার্থী রিতাদেবীও মানতে নারাজ রক্তক্ষরণের কথা। কিন্তু কমিটির সদস্য অমলেশ বোস বলেন, ভেমুয়া, বিষ্ণুপুর, দশগ্রামের মত একাধিক জায়গায় আমাদের ভোট কমেছে। ভয় দেখানোর ফলে শাসকদলে ভোট গিয়েছে। সঙ্গে কিছু ভোট বিজেপিতেও গিয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সিপিএম দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাদের যে ভোট কমেছে তাতে অস্বীকার করার কিছু নেই। অন্যদিকে বিজেপির ভোট বেড়েছে অনেক। যার ফলে ২০১৯ এর লোকসভায় বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কের এই উত্থান শাসক দলকে চিন্তায় রাখবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!