প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধ যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে বেড়ে চলেছে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। বাংলার প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে চাইছে নিজেদের ঘর গোছাতে। আর এই বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলার দুই যুযুধান রাজনৈতিক শিবির তৃণমূল এবং বিজেপি। প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে সাংগঠনিক জোর বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে একে অন্যের ঘরে লাগাচ্ছে ভাঙন।

একদিকে যেমন শাসক দল তৃণমূল দাবি করছে, গেরুয়া শিবির থেকে দলে দলে লোক গিয়ে যোগ দিচ্ছে তাঁদের দলে ঠিক একইভাবে এবার গেরুয়া শিবিরও জানাচ্ছে তাঁদের দলভারী হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি নদীয়ায় ব্যাপক আকারে দলবদল হয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে প্রায় 2 হাজার কর্মী, সমর্থক, নেতা যোগ দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তবে বিজেপির দাবি, এদের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছেন তৃণমূলের কর্মীরা। একইভাবে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার মাধবপুর থেকে বিজেপিতে যোগদান করলো এদিন তৃণমূল থেকে চলে আসা পঞ্চাশটি সংখ্যালঘু পরিবার।

অন্যদিকে পুরুলিয়া তেও একই ভাবে বিরোধী দল থেকে প্রায় দেড়শ জন বিজেপিতে যোগদান করেন এদিন। এই যোগদান ঘটে পুরুলিয়ার কাশিপুর বিধানসভা এলাকার বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল থেকেই বিজেপিতে দলবদলের সংখ্যা বেশি। তবে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তৃণমূল বিজেপির সাথে পেড়ে উঠতে না পেরে পুলিশের সাহায্য নিয়ে ভয় দেখিয়ে বিজেপি থেকে কয়েকজনকে নিয়ে যাচ্ছে তাঁদের দলে।

তবে এ ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, যারা যাচ্ছেন, তাঁরা আবারও ফিরে আসবেন। চিন্তার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে এই দলবদলের মাধ্যমে তৃণমূল শিবিরে জোরদার আঘাত দিয়েছে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অন্যদিকে বাংলা জুড়ে বিজেপিতে এখন দলে দলে তৃণমূল কর্মী ও অন্যান্য বিরোধীরা প্রবেশ করছে। যার ফলে রীতিমতো খুশির মেজাজ গেরুয়া শিবিরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল শিবির ভাঙছে, তা কিন্তু ধীরে ধীরে আগামী দিনে তৃণমূলকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এ বিষয়ে আগাম সাবধান বাণী দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।