এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মদের ক্ষোভেই রাজ্যে আসবে পরিবর্তন? মুখ্যমন্ত্রী হবেন কুপোকাত? বিধানসভার আবহে সামনে কোন তথ্য?

মদের ক্ষোভেই রাজ্যে আসবে পরিবর্তন? মুখ্যমন্ত্রী হবেন কুপোকাত? বিধানসভার আবহে সামনে কোন তথ্য?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ১০ ই নভেম্বর যার ফল প্রকাশ। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে এনডিএ জোট বনাম মহাজোটের।নির্বাচনে জিতে নীতিশ কুমার মসনদে ফিরবেন? নাকি বদলে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী? এটিই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বেশকিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো, বেআইনি মদ বিক্রির বিষয়টি। অভিযোগ উঠেছে, বিহারে বেআইনি মদের কারবার সম্প্রতি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের ভূমিকা কতটা সদর্থক? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় মহিলারা অভিযোগ করেছেন, সরকারিভাবে মদ নিষিদ্ধ হলেও, পয়সা ফেললে সহজেই পাওয়া যায় যাচ্ছে মদ।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজিমাত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেসময় মহিলা ভোটারদের তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আবার যদি তিনি ক্ষমতাসীন হন, তবে রাজ্যে একেবারে মদ নিষিদ্ধ করবেন। সেবার মহিলারা অকুন্ঠ সমর্থনও জানিয়েছিলেন তাঁকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে মহিলা ভোটারদের ভোট সংখ্যা বেড়ে ৫৯.৯২ শতাংশ হয়েছিল। যার মধ্যে ৩০ টি কেন্দ্রে ৭০ শতাংশেরও বেশি মহিলা ভোট পড়েছিল।

তবে অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতায় এসে নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করেননি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এদিকে গত ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহারে সব ধরনের মদ বিক্রি ও মদ্যপান নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মদের চোরাচালান রোধেও সেসময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যেন সবকিছুই ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে মদের চোরাচালান। বিহারের মদ বিরোধী অভিযানের অন্যতম নেত্রী ফুদেনা দেবী জানালেন, ‘‘ একসময় আমাদের অধিকাংশের পরিবারের সব উপার্জন খরচ হয়ে যেত মদের পিছনে। পরিস্থিতি বদলে গিয়েছিল নিষিদ্ধকরণের পরে। তবে, এখন আবার সব আগের মতো হয়ে গেছে। নিষিদ্ধ ব্যাপারটা কেবল খাতায় কলমে রয়ে গিয়েছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, গত ৪ বছরে বিহারে ৪১.০৬ লক্ষ লিটার দিশি ও বিলিতি মদ নষ্ট করা হয়েছিল। বেশ কিছু সময় দেখা গেছে যে, রাস্তায় ফেলে রোলার দিয়ে ভেঙে দেয়া হচ্ছে মদের বোতল। কিন্তু, এতকিছুর পরও চোরাচালান বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনেক সময় পুলিশের গোডাউন থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে মদের বোতল। ২০১৮ সালে কাইমুর জেলায় পুলিশের গুদাম থেকে ১১০০০ লিটার মদ গায়েব হয়ে যায়। এই ঘটনা নিয়ে প্রচণ্ড শোরগোল পড়ে যায়। যদিও পুলিশের পক্ষ দাবি করা হয়েছিল যে, ইঁদুরে খেয়ে ফেলেছে এই মদ।

মদ্যপানের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সংসার জীবনে যে কতটা ভয়ানক পরিস্থিতি আসতে পারে, তা এখনও ভুলতে পারেন নি বিহারের মহিলারা। যদিও বিহারে এখনো সেই পরিস্থিতি আসেনি। কিন্তু, মহিলারা আশঙ্কা করছেন যে, এভাবে যদি চলতে থাকে তবে, পূর্বের পরিস্থিতি ফিরে আসতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই গত ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মহিলারা যেভাবে নীতিশ কুমারকে সমর্থন করেছিলেন, এবার তাঁরা কতটা তা করবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। মূলত বিহারে মদের চোরাচালান রোধের ব্যর্থতাই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসওয়ানও এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!